চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দুই শতাধিক নারীর সফলতার কাহিনী

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে সমিতির মাধ্যমে দুধ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দুই শতাধিক নারী। আগে তারা দুধ বিক্রি করে ন্যায্য দাম পেতেন না। এখন সমিতির মাধ্যমে দুধ বিক্রি করায় ন্যায্য দামের পাশাপাশি লাভও হচ্ছে অনেক।

মূল ভূখন্ড থেকে ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি, টেংরাকান্দি, গাবগাছি, খোলাবাড়ি, দেলুয়াবাড়ি, ফজলুপুর ও এড়েন্ডাবাড়ীর এসব চরবাসী। নদী ভাঙ্গনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এসব চরের পরিবার গাভী পালন আর উৎপাদিত দুধ বিক্রি করার অর্থে চলে সংসার।

নদীর বুকচিরে এখন ধূ ধূ বালিচর। এসব চর থেকে দুধ বিক্রি করতে স্থানীয় বাজারের দূরুত্ব প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। তাই এখানকার উৎপাদিত দুধ বাজারে বিক্রি প্রায় অসম্ভব ছিল। দুধ উৎপাদনকারী চরবাসিকে তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে হতো পানির দামে।

সম্প্রতি স্থানীয় মহিলারা টেংরাকান্দির চরে গড়ে তুলেছেন দুধ সংগ্রহ সমিতি। সেখানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে গাভীর দুধ সংগ্রহের তোড়জোড়। চরের উৎপাদিত আশি ভাগ দুধেই বিক্রি হয় বিরাঞ্চলের। এতে অর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে চরের দুধ উৎপাদন কারি কৃষকরা।

চরের অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি দুধের সম্ভারটাও কম নই, দাবি করে দুধ উৎপাদনকারীরা জানান প্রতিদিন গড়ে ৮শ’ লিটার দুধ সংগ্রহ করছে এই সমিতি।

আগে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দুধ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এখন এই সমিতি থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে দুধ কিনে আমরা বাজারের ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি।

প্রতি বাড়িতে গাভী প্রতিপালন করা হয়েছে। সেখানে দুধ উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত দুধ বিক্রি করার জায়গা তারা পাচ্ছিলনা। সে ক্ষেত্রে এখানে সমিতির মাধ্যমে তারা দুধ বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে।

গাভী পালন করে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগ তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে বলে জানালেন এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

চরাঞ্চলের কৃষকরা গরু পালন করে শুধু পুষ্টিকর দুধেই উৎপাদন করছে না তাদের এ কাজে সরকারিভাবে সহায়তা করা গেলে চরগুলো আরও হয়ে উঠবে সম্ভাবনার সংকেত।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: