গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়রের ছেলে আশেকুর রহমান সাম্য হত্যার দু’মাস পরও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অন্য দুই আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে অাটক করা হলেও অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাম্য মঞ্চ গঠন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, তারা এ হত্যার বিচার চায় এবং খুনিদের ফাঁসি চান। এদের একজন বলেন, আজ আমি আমার ভাতিজাকে হারিয়েছি কাল একজন মা তার সন্তানকে হারাবে। এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন হত্যাকাণ্ড করার দুঃসাহস না দেখায়।
সাম্যর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গাইবান্ধায় চলছে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অনশনসহ নানা কর্মসূচী।
সাম্যর বাবা আতাউর রহমান সরকার বলেন, রাজনীতিতে যে আমার জনসমর্থন ছিল এই জনসমর্থনের জন্যই আমার ছেলে খুন হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে কোন মুক্তিপণ দাবি না করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
ছেলে হত্যার দ্রুত বিচার চেয়ে সাম্যও মা বলেন, আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের কাঠোর শাস্তি দাবি করছি।
৩ জন আসামিকে গ্রেফতারের দায় স্বীকার করে গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডে ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এই আসামিদের মধ্যে আমরা ৮ জনকে ধরতে পেরেছি। বাকিদের ধরতে পারিনি।
তিনি জানান, বাকি আসামিদের ধরতে আমাদের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ হত্যাকাণ্ডে একজন কাউন্সিলর জড়িত কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
কোরবানির ঈদের আগের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সাম্যকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমানের ছেলে আশেকুর রহমান সরকার সাম্যকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঈদের দিন সাম্য’র বন্ধু হৃদয়ের বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই বিক্ষুব্ধ জনতা আটজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সাম্যর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পরিবার এবং এলাকাবাসী।