জয়ের জন্য ৩৫৪ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেটে রান ১৭৬। জিততে গেলে চাই আরও ১৭৮ রান। অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটবে কি না, তা ঠিক করে দিতে পারত একজনের ব্যাট। তিনি ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। কিন্তু উল্টো পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরুতেই ইংলিশদের খেল খতম করে দেন অজি বোলাররা।
প্রথম ১৭ বলেই টেস্টের ভাগ্য লিখে দেন জশ হ্যাজেলউড। আর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্য সফরকারীদের ১২০ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে যায় স্টিভেন স্মিথের দল।
চতুর্থ দিনের শেষে রুট ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রুটের ব্যাট যত চওড়া হয়েছে, গ্যালারিতে তত গর্জে উঠছে ‘বার্মি আর্মি’। উল্টো দিকে সময় গড়ানোর পাশাপাশি কিছুটা ম্রিয়মাণ দেখাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথকে।
তবে ইংল্যান্ডের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনের আভাস দিয়ে রাখলেও ইতিহাস পক্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়ার। অ্যাডিলেডে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ারই, ৩১৫। সেটিও সেই ১৯০২ সালে। ইংল্যান্ডকে জিততে গেলে তাই রেকর্ড রানই করতে হত। রেকর্ড গড়া হয়নি, টেস্টও জেতা হয়নি।
পঞ্চম দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন হ্যাজেলউড। স্কোরবোর্ডে কোনও রান জমা হওয়ার আগেই রুট এবং ওকসকে ফেরান। আগের দিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত রানের খাতায় আর কিছু যোগ করতে পারেননি তারা।
দলের কঠিন দিনে হাসেনি মঈন আলীর ব্যাটও। নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে কুপোকাত মঈন (২)। ক্রেক ওভারটনকে (৭) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন স্টার্ক। শেষদিনে যা একটু লড়াই করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৬ রান করেন।
শেষ দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান যোগ করে ২০ ওভারের কম বল মোকাবেলায় ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২৩৩ রানে। প্রথমে ইনিংসে ইংলিশদের সংগ্রহ ছিল ২২৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৪২ রানে ইনিংস ঘোষণা করা অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। স্মিথ বাহিনীকে বস্তাবন্দীর আসল কাজটা করেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৪৩ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
অ্যান্ডারসনের ৫ উইকেটের জবার দেন মিচেল স্টার্ক। ৮৮ রানে ৫ উইকেট নেন অজি পেসার। এছাড়া হ্যাজেলউড ও লায়ন দুটি করে এবং প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।