জোড়া গোলে পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। জোড়া গোল পেলেন কাইলিয়ান এমবাপেও। ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে উড়ন্ত জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় পা রাখল পিএসজি।
পার্ক ডে প্রিন্সেসে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগেকে ৪-১ গোলের হারিয়েছে পিএসজি। জোড়া গোলে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের ৭৫৭ অফিসিয়াল গোল টপকে ৭৫৮ গোলের মালিক এখন আর্জেন্টাইন মেসি।
পিএসজির জয়ের রাতটা একই গ্রুপের ম্যানচেস্টার সিটির জন্য ছিল হতাশার। পেপ গার্দিওলার দলকে ২-১এ হারিয়ে দিয়েছে লেইপজিগ। স্মরণীয় জয়ে দলটি ইউরোপা লিগে খেলার টিকেটও কেটে ফেলেছে।
হারের পরও অবশ্য ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানসিটি এ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। নকআউট পর্বের তাদের সঙ্গী পিএসজি, ৩ জয় ও ২ ড্রয়ে যাদের পয়েন্ট ১১।
ঘরের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটের মধ্যেই দুবার প্রতিপক্ষের জাল বল পাঠান কাইলিয়ান এমবাপে। দ্বিতীয় মিনিটে ডান পায়ের শটে খাতা খোলেন ফরাসি তারকা। পাঁচ মিনিট পর ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে তুলে নেন দ্বিতীয় গোল।
নিজের প্রথম গোলটি করার মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী (২২ বছর ৩৫২ দিন) হিসেবে ৩০তম গোলের কীর্তি গড়েছেন এমবাপে। এতদিন রেকর্ডটি ছিল সতীর্থ লিওনেল মেসি, ২৩ বছর ১৩১ দিন বয়সে কীর্তিটি গড়েছিলে এলএম।
এমবাপের পর আলোয় আসেন মেসি। ৩৮ মিনিটে এমবাপের বাড়ানো বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সের অনেক বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের দূরপাল্লার শটে নিশানাভেদ করতে তিনি। যে গোলের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৮টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসান মেসি।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ব্রুগের ম্যাটস রিটস একবার ব্যবধান কমান। আট মিনিট পর ফের মেসির গোল। বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের ফাউলের শিকার হয়েছিলেন তিনিই। স্পটকিকে বল জালে জড়িয়ে গোলসংখ্যায় পেলেকে ছাড়িয়ে যান। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজিও।
অন্য ম্যাচে, ২৪ মিনিটে ডমিনিক সজোবোসলাই ও ৭১ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার গোলে লিড পায় লেইপজিগ। ৭৬ মিনিটে রিয়াদ মাহারেজ হেডে গোল করে ম্যানসিটিকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু ৮২ মিনিটে কাইল ওয়াকারের লাল কার্ডের পর ১০ জনের সিটিজেনরা আর পেরে ওঠেনি।