ইংল্যান্ড ফুটবলের সাম্প্রতিক সময়কার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হিসেবেই বিবেচনা করা হয় ওয়েইন রুনিকে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই অধিনায়ক প্রিমিয়ার লিগে দুঃস্বপ্নের মতোই এক মৌসুম কাটালেন।
চলতি মৌসুমে মাত্র দুই গোল করা রুনি তার অভিজাত স্থানে ফিরে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জোড়ালো প্রশ্নে তৈরি হয়েছে।
গত সোমবারও চেলসির বিপক্ষে ম্যান ইউ’এর ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও গোলশূন্য ড্র হয়। আর ৮ ম্যাচ ধরে জয়শূন্য থাকা জনপ্রিয় ক্লাবটি নতুন বছরে রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়। ব্যর্থতায় ভরা ২০১৫ সালকে ভুলে যেতে ক্লাবটির অধিনায়ক রুনিই সবচেয়ে বেশি ব্যাকুল থাকবেন নিঃসন্দেহে। অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখে সর্বশেষ গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
যেখানে রুনির নির্ভুল শটের শতকরা হার মাত্র ৪১ শতাংশ, সেখানে এবার তিনি তার শটের মাত্র ৮ শতাংশকেই সঠিক লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন। গোলের জন্য রুনির ব্যর্থ সংগ্রাম এবং তার করুণ অবস্থার কথা প্রকাশ করতে একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।
২০১৫ সালে গোলসংখ্যায় প্রিমিয়ার লিগের ১৭টি ভিন্ন ক্লাবের ৩২ জন খেলোয়াড়ের নিচে পড়েছেন রুনি। অর্থাৎ নরওয়িচ এবং এ্যাস্টন ভিলার স্ট্রাইকাররাই শুধু এক্ষেত্রে রুনির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
চলতি বছরে মাত্র ছয়টি গোল করা রুনি পঞ্জিকাবর্ষটি শেষ করছেন ৩৩তম অবস্থানে থেকে। তার সাথে একই অবস্থানে প্রিমিয়ার লিগের মাত্র অর্ধেক মৌসুমে মাঠে নামা এ্যান্ড্রি আয়ি, চার্লি অসটিন, স্টিভেন জেরার্ড এবং টরি ডিনি।
একজন স্ট্রাইকারের জন্য এরচেয়ে বড় হতাশার আর কি হতে পারে। ইংল্যান্ড এবং ম্যান ইউ’এর অধিনায়ক রুনি বছরটি ভুলে যেতে আকুল হবেন, তাই স্বাভাবিক।