রাজধানী এলিফেন্ট রোডে গড়ে উঠেছে ভিন্ন এক বইয়ের জগৎ ‘দীপনপুর’। বই কেনার পাশাপাশি বইপ্রেমীরা এখানে দিনভর বই পড়ারও সুযোগ পাবেন।
যান্ত্রিক নগরে এখনো বইপড়ুয়া মানুষেররা ফুরিয়ে যায়নি । আর তাই তাদের জন্যই দীপনপুরের যাত্রা। দীপনপুর ঘুরে দেখা গেছে পড়ুয়াদের ভিড় । দীপাঞ্জলি ক্যাফেতে জমে উঠেছিল সাহিত্য আড্ডাও । প্রয়াত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে মনে রাখতেই তার সহধর্মীণি রাজিয়া রহমান জলি আর তার বন্ধুরা মিলে গড়ে তুলেছে।
কথা হয় রাজিয়া রহমান সাথে তিনি বলেন, দীপনের স্বপ্নগুলো ছিল বই কেন্দ্রীক। তাই দীপনপুরের মাঝেই বেঁচে থাকবে দীপন আর তার স্বপ্ন।
দীপনপুরের বেশ বড় একটা জায়গা রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য। তাদের বিকাশটাকে অনেক জরুরি মনে করেন রাজিয়া সুলতানা। তেপান্তরের মাঠের মত সবুজ ঘাসে ছাওয়া এই শিশু কর্ণারে শিশুরা বসে বই পড়তে পারবে । ইচ্ছে হলে বইয়ের পাতায় রঙ করবে। আর এর নাম দেয়া হয়েছে দীপান্তর।
রাজিয়া রহমান বলেন, ‘পুরোপুরি ভিডিও গেমস , কিংবা কম্পিউটারমুখী না হয়ে আমরা চাই শিশুদের বই কেন্দ্রীক এক জগৎ হউক।’ শিশুদের নিয়ে বসবে গল্প বলার আসর। গল্প শোনাবেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে শিশুদের প্রিয় মানুষ। যারা আঁকতে ভালোবাসে তাদের জন্য থাকবে আঁকাআকির ইশকুল।
শুধু বই পড়ার পাশাপাশি দীপনপুরে রয়েছে ক্যাফে দীপাঞ্জলি। কফির মগে চুমুক দিয়ে এখানে সবাই মেতে উঠতে পারবেন আড্ডা-গল্পে। বইয়ের পাশাপাশি এখানে আছে নবীন শিল্পীদের আঁকা ছবিও। সব মিলে শিগগিরই বইপ্রেমী মানুষদের অনন্য এক জগত হয়ে উঠবে দীপনপুর, এমনটাই প্রত্যাশা উদ্যক্তা রাজিয়া রহমানের।