বিতর্কিত মওলানা সা’দ নিজের সুবিধা মতো সময়ে দিল্লীতে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মওলানা সা’দকে নিয়ে চলমান অস্থিরতা নিরসনে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে সভা শেষে কাকরাইল মসজিদে ফিরে শূরা সদস্য মওলানা মহিবুল্লাহ ও মওলানা গিয়াসউদ্দিন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মওলানা সা’দ ফিরে যাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবাদমান দুই পক্ষকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন মওলানা মহিবুল্লাহ, মওলানা গিয়াসউদ্দিন এবং মওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। এর আগে বুধবার মাওলানা সা’দের বাংলাদেশ আগমন ঘিরে উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। বিক্ষোভ আন্দোলনে যানজটে ভোগান্তিও ছিল অনেক।
‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের কারণে ভারতের নিজামুদ্দিনের আমির সা’দকে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে না দেয়ার দাবিতে বুধবার বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম।
দিনভর বিক্ষোভের মধ্যে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ভারতের নিজামুদ্দিনের আমিরকে কাকরাইল মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনারের বরাত দিয়ে যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় (ক্রাইম) জানান, সার্বিক দিক বিবেচনা এবং বিরোধীপক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার ইজতেমায় থাকছেন না মওলানা সা’দ।
“ইজতেমা চলাকালীন পুরো সময়টিতেই মওলানা সা’দ অবস্থান করবেন কাকরাইল মসজিদে। সেখানে যেকোন ধরণের বিক্ষোভ, অপ্রীতিকর ঘটনা, নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”
এর আগে বৃহস্পতিবার ‘‘সূর্য ডোবার আগে মওলানা সা’দকে ফেরত পাঠাতে হবে, না হলে দেশ অচল করে দেয়া হবে’’ বলে হুমকি দেন হেফাজতে ইসলামের জয়েন্ট সেক্রেটারি ফজলুল করিম কাশেমী।
তিনি বলেন: কাকরাইল মসজিদের ওয়াসিফ, নাসিফ সহ কয়েকজন মাওলানা সা’দের সঙ্গে মিলে বিশ্ব ইজতেমার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছে। আমরা সকালে কাকরাইল মসজিদে যেতে চাইলে আমাদের পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। তাই আমরা বায়তুল মোকাররমে সমবেত হয়েছি।
এসময় বায়তুল মোকারম মসজিদ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখা গেছে।