‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ শকুন সম্পর্কে একসময় খারাপ ধারণা ছিল মানুষের। শকুনকে অশুভ এমনকি মৃত্যুর প্রতীক হিসেবেও কল্পনা করা হতো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন অশুভ নয়, বরং মৃত পশু খেয়ে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।
কিন্তু গবাদিপশুর চিকিৎসায় ব্যাথানাশক ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে পরিবেশের এ পরম বন্ধু শকুন আমাদের দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। ওই ওষুধ দেয়া পশুর মৃতদেহ ভক্ষণ করলে কিডনি নষ্ট হয়ে শকুন মারা যায়।
বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা শকুনকে সুস্থ করার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় উদ্যান সিংড়া ফরেস্টে গড়ে তোলা হয়েছে পরিচর্যা কেন্দ্র। বন বিভাগ ও আইইউসিএন-এর উদ্যোগে এখানেই আড়াই মাসের পরিচর্যায় সুস্থ করা হয়েছে ৮টি শকুনকে। মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় ৭’শ একরের এই বিশাল বনভুমিতে।
পরে শকুনের নিরাপদ এলাকা নিশ্চিত করা ও শকুন সংরক্ষণে সচেতনা বাড়াতে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। সেখানে বক্তারা বলেন, প্রকৃতির ঝাড়ুদার খ্যাত পরিবেশের পরম বন্ধু শকুন টিকিয়ে রাখতে সরকারের যেমন দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন জনসচেতনতার।
দিনাজপুর প্রতিনিধি শাহ্ আলম শাহীর রিপোর্টে দেখুন বিস্তারিত:
https://www.youtube.com/watch?v=R2sAaBIdv_w&feature=youtu.be