উত্তরের শষ্য ভান্ডার দিনাজপুরে আমন মৌসুমে আগামজাতের ‘বিনা ধান- ১৬ ও ১৭’ এবং উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ২৭, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান ৭৫ কৃষকদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি, খরাসহিষ্ণু হওয়ায় এ জাতের ধান চাষ লাভজনক বলে জানিয়েছে কৃষক। প্রতি একরে ফলন আসছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। কার্তিকের ২য় সপ্তাহে এ ধান ঘরে তুলতে পেরে এবং এধানের ফলন ও দামও ভালো পেয়ে খুশি কৃষক।
এ ধান কাটার পর পরিত্যক্ত জমিতে আলু, সরিষাসহ চাষ হচ্ছে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি। এতে বাড়ছে জমিতে ফসলের নিবিড়তা।দিনাজপুরের বেশ কয়েকজন কৃষক এবার আমন মৌসুমে আগামজাতের ‘বিনা ধান- ১৬ ও ১৭’ এবং উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ২৭,ব্রি ধান-৪৯,ব্রি ধান ৭৫ চাষ করেছেন। এ জাতের ধান চাষে তাারা পেয়েছেনও আশাতীত ফলন। ভালো ফলন পেয়ে উৎফুল্ল কৃষক।
১১০ থেকে ১১৫ দিনের জীবনকাল স্বল্প মেয়াদী, ক্ষরা সহিঞ্চু বিনা ধান-১৬ ও ১৭’র প্রধান বৈশিষ্ট্য এ ধানে সার সেচ লাগে কম। বিনা ধান-১৭ স্বল্প জীবনকালীন হওয়ায় ধান কাটার পর ওই একই জমিতে কৃষক সরিষা কিংবা আলু চাষ করে।
পরে জমি তৈরি করে আবার লাগানো হবে বোরো ধানের চারা। তাই, এ ধান চাষে আগ্রহী কৃষক। এসব জাতের ধান চাষাবাদের পরিধি বাড়াতে ও কৃষককে বীজ সংরক্ষণেরও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি সম্পৃক্ত দপ্তরগুলো।