চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দিনটা ইংল্যান্ডের হতে দিলেন না কামিন্স

ব্রিসবেনে বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির হানায় নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে দেরি হয়। পরে উত্তাপের অ্যাশেজ উত্তেজনা দিয়ে শুরু হলেও অল্প সময়ের ব্যবধানেই পরিণত হয় অলস এক দিনে। ঝুম বৃষ্টির কারণে আবারও যে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা যখন পুনরায় মাঠে গড়ায় তখন গ্যাবার সবুজ উইকেটে শুরুটা প্রত্যাশা মতোই করে অজিরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই অ্যালিস্টার কুককে আউট করে অনেকটা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বসে থাকা সমর্থকদের সিটটা গরম করে তোলেন মিচেল স্টার্ক।

ইংল্যান্ডের অপয়া ভেন্যুতে শুরুটা মোটেই ভাল হল না কুকের। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার সময় দলীয় এবং তার ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ২। দ্বিতীয় উইকেটের দেখাও দ্রুতই পেয়ে যেত পারত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু চতুর্থ ওভারে মার্ক স্টোনম্যানের ক্যাচটা ধরে রাখতে পারেননি স্লিপের বিশেষজ্ঞ ফিল্ডার ক্যামেরন বেনক্রফট।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

এরমধ্যে ইনিংসের ১৭তম ওভারে নাথান লায়ন বোলিংয়ে আসার পর শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির পর খেলা আবার শুরু হয় চা-বিরতির সামান্য আগে।

খেলা যা হল তাতে অজিদের ফিল্ডিং ভুলের সুযোগটা মোটামুটি ভালই তুলেছেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান। শুরু ধাক্কা সামলে স্টোনম্যান ও জেমস ভিন্স মিলে ১২৫ রানের জুটি গড়ে দিনটা নিজেদের করে নেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। চা বিরতির কিছুক্ষণ আগে ভাঙে তাদের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি হাকিয়ে স্টোনম্যান আউট হন ব্যক্তিগত ৫৩ রানে। পরে দিনটা আসলে ইংল্যান্ডের হতে দেননি অজি পেসার প্যাট কামিন্স। ক্রিজে থিতু হওয়া স্টোনম্যানের সঙ্গে সফরকারীদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জো রুটকেও ফিরিয়েছেন তিনি।

স্টোনম্যান ফিরলেও ধীরে ধীরে সেঞ্চুরি পথে হাঁটছিলেন ভিন্স। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৩ রানের মাথায় রানআউট হন তিনি। লায়নের সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে সেঞ্চুরি স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় তার।

দলের প্রয়োজনের সময় এদিন বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক জো রুটও। প্যাট কামিন্সের আগুনে গোলায় ১৫ রানেই শেষ হয় ইংলিশ কাপ্তানের ইনিংস। পরে বাকি সময় অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন ডেভিড মালান (২৮) ও মঈন আলী (১৩) । প্রথম দিন শেষে ইংলিশদের স্কোর বোর্ড ১৯৬/৪।

অ্যাশেজ যুদ্ধের প্রথম টেস্টে ইনজুরির কারণে খেলা অনিশ্চিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অলরাউন্ডার মিশেল মার্শের। কিন্তু ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করে দুজনেই দলে জায়গা করে নেন।