বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠা রাজনীতি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই পালটে দিতে বসেছে।
দ্বিদলীয় ব্যবস্থার রাজনীতির বাইরে তৃতীয় এক শক্তির বিশেষত সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখানে ‘আশঙ্কা’ শব্দটা ব্যবহার করছি সচেতনভাবেই, কারণ তৃতীয় এই শক্তি যা মূলত সাম্প্রদায়িক এবং প্রতিক্রিয়াশীল তার উত্থান কোনোভাবেই দেশের রাজনীতির জন্যে সুখবর নয়। বরং এটা আমাদের অগ্রগতির অন্তরায় হয়ে ওঠবে। বাড়বাড়ন্ত এই শক্তি আরও বেশি শক্তিমান হতে থাকলে প্রগতির চাকা রুদ্ধ হবে, মধ্যযুগীয় বর্বরতার যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠবে, মুসলমান ছাড়া অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীর বিশেষত হিন্দুদের জায়গা হবে না বাংলাদেশে। নারী শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, হেজাব-আলখাল্লায় ঢাকা পড়বে নারী স্বাধীনতা।
হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক সংগঠন না হলেও দলটির কর্মসূচিগুলো রাজনৈতিক। ধর্মভিত্তিক অনেকগুলো রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের দ্বারাই হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত। এই দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামি না থাকলেও নেতাদের মধ্যে রয়েছে দলটির ব্যাপক প্রভাব। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেম-ওলামারা যারা একটা সময়ে জামায়াতে ইসলামির রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিল, জামায়াতকে ইসলামপন্থী দল বলে স্বীকৃতি দিতো না তারাই কালের বিবর্তনে জামায়াতের আদর্শিক অনুসারী হয়েছে, এবং এটা হেফাজতের ছায়াতলে এসে। ফলে হেফাজতের বর্তমান নেতৃত্বে জামায়াতের চিহ্নিত কেউ না থাকলেও পেছনে থেকে মূলত চালাচ্ছে সেই জামায়াতই।
এখানে জামায়াতে ইসলামি নামের নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দলকে বড় করে দেখছি না ঠিক, তবে দলটির আদর্শ বিশেষত ‘মওদুদিবাদের’ প্রচারে সামনে রয়েছে এই হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির আমির মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক এখানে জামায়াতের আদর্শ প্রচারে কাজ করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বিচারের মুখোমুখি হয়ে শাস্তি ভোগ এবং মাঠের রাজনীতিতে জামায়াত কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার কারণে হেফাজতকে দিয়ে জামায়াত মাঠের রাজনীতিতে টিকে রয়েছে। হেফাজতে তাদের বিনিয়োগ করেছে। ফলে সেই দুই হাজার তেরো থেকে শুরু করে নানা সময়ে জামায়াতের দাবিগুলো হেফাজতের মুখ দিয়েই বেরিয়ে এসেছে। গণজাগরণ আন্দোলনের উত্তুঙ্গু সময়ে জামায়াত নেতাদের বাঁচাতে হেফাজত আন্দোলনে নেমে শাপলা চত্বরসহ দেশব্যাপী যে নাশকতা করেছিল সেটা মূলত জামায়াতের ছকেই। সে যাত্রায় মাঠের লড়াইয়ে তারা পেরে না ওঠলেও টেবিলের লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দফারফায় নানা সুযোগসুবিধা হাসিল করেছে, এর বদান্যতায় টিকেও রয়েছে।
সাবেক আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর হেফাজত তাদের আদর্শিক প্রবল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের সঙ্গেও আপস করেছে, সরকারের কাছ থেকে আর্থিক নানা সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ আছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতকে বাগে আনতে বিভিন্ন সময়ে তাদের দেওয়া নানা দাবি পূরণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ‘জাস্টিসিয়া’ অপসারণসহ পাঠ্যপুস্তকে এনেছে পরিবর্তন, দাওরায়ে হাদিসকে দিয়েছে মাস্টার্সের সমমান। আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের নেতৃত্ব বাবুনগরীর কাছে যাওয়ার পর ফের সরকারবিরোধিতায় মাঠে নামে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার মত ধৃষ্টতাপূর্ণ হুমকিও দেয় তারা। ঢাকার রাজপথে ফ্রান্সের একটি পত্রিকায় কার্টুনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে শক্তি প্রদর্শন করেছে। তাদের এই শক্তি প্রদর্শনের প্রতি পর্যায়ে সরকার তাদের প্রতি নমনীয় আচরণ করে গেছে। সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজত যে তাণ্ডব চালিয়েছে সেখানেও সরকার তাদের প্রতি নমনীয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকায় হেফাজত যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে সেখানে এই নাশকতার সঙ্গে হেফাজত জড়িত হলেও এখন পর্যন্ত সরকার দৃশ্যমান কোন কঠিন পদক্ষেপ নেয়নি।
মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় অন্তত চৌদ্দজনের প্রাণহানি হয়েছে। এই তাণ্ডবে সরকারি-বেসরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন, জাতির পিতার প্রতিকৃতি ভাঙচুর-আগুন, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন ভাঙচুর-আগুনে হেফাজতের নেতাকর্মী-সমর্থকেরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। এসব ঘটনায় একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে আট সহস্রাধিক অজ্ঞাতনামাদের। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বাইরে যাদের আসামি রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে নেই হেফাজতের কোনো নেতা। ভাবা যায়?
হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ধর্মীয় মৌলবাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি হয়ে ওঠছে এই এলাকা। ওখানকার প্রশাসনের নাকের ঢগায় সেইসব তাণ্ডব চলেছে বললে কি অত্যুক্তি হবে? খোদ স্থানীয় সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অভিযোগের তীর দাগিয়েছেন পুলিশের দিকে। হেফাজতের এ তাণ্ডবের ‘বিচার বিভাগীয় তদন্ত’ দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের এ সংসদ সদস্য এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কারা হামলা করল, কেন হামলা করল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কেন নীরব ভূমিকা পালন করল, কেন সদর থানা থেকে অদ্ভুত মাইকিং করা হল-তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।’ তার অভিযোগ প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংসদ বলছেন, পুলিশ সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। তারা নীরব থেকেছে বলে অভিযোগ তার। এই তাণ্ডবের পর যে মামলাগুলো করল পুলিশ সেখানেও নেই হেফাজতের কোন নেতার নাম। বিষয়টি আশ্চর্যজনক ঠেকছে সকলের কাছে। এতবড় এক তাণ্ডব ও বড়ধরনের প্রাণহানি সত্ত্বেও পুলিশ কীভাবে হেফাজতের কাউকে বাদ দিয়ে মামলা করে? সাংসদের উদ্দেশে না হলেও এর একটা উত্তর দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল বুধবার ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেছেন, ‘যারা অনস্পট ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে কোনও কাজ হলে দশ রকম কন্ট্রোভার্সি হয়। আমরা এক্ষেত্রে চাইনি এরকম কিছু হোক। তদন্ত চলছে। তদন্তে হেফাজত নেতাদের বা নির্দেশদাতাদের নাম এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে বাদ দেইনি।’
হেফাজতের এই নাশকতা সত্ত্বেও সরকার পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলতে চাইছে কিনা এ প্রশ্নও ওঠেছে। এতবড় এক তাণ্ডবের পর হেফাজতের কোন শীর্ষনেতাকে এর দায় দিচ্ছে না তারা। উপরন্তু নাশকতাকারী হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে এখানে তারা ফের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে বলেই সন্দেহ। এই সময়ে হেফাজতের কোন নেতা গ্রেপ্তার না হলেও র্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। এই নাশকতাকে সরকার কীভাবে দেখছে তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মন্তব্যে। গত রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশ পরিচালনা ব্যাহত করতেই এসব অপচেষ্টা। শুধু হেফাজত নয়, বাঁশেরকেল্লার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে যারা আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন করেছিল তাদেরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। রণকৌশল জানান দিচ্ছে এতে জামায়াত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ ও বিএনপির মদদ থাকতে পারে।’
হেফাজতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শনে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে নাশকতার কর্মকাণ্ডে গানপাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে হেফাজতের কাঁধে ভর করে জামায়াত ও বিএনপি এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।’ আওয়ামী লীগ এই তাণ্ডবের পর পুরো ঘটনা থেকে কি তবে হেফাজতকে বাদ দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতকে সামনে নিয়ে আসতে চায়; প্রশ্ন। সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের সঙ্গে যদি পুলিশের দেওয়া মামলার আসামিদের নামগুলো মিলিয়ে দেখা হয় তবে এটা প্রমাণের বাকি থাকে না যে আওয়ামী লীগের ‘গুডবুক’ থেকে হেফাজত বাদ যায়নি এখনও। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কালি লেপতে হেফাজত যতই চেষ্টা করুক না কেন আওয়ামী লীগ হেফাজতের সঙ্গ ছাড়ছে না সহসা!
সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকা এই নেতারা হেফাজতের তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যোগ দেখছেন। পুলিশও হেফাজতকে বাদ দিয়ে শুরুতে মামলা দিয়েছে। আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য ভিন্ন এখানে। দল ও সরকারের নীতিনির্ধারণে আগের মত গুরুত্ব না পাওয়া দুই বর্ষীয়ান নেতা হেফাজতকেই দোষারোপ করেছেন স্বাভাবিকভাবেই। গত সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘মোদির সফরকে তারা (হেফাজতে ইসলাম) অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এর আড়ালে তারা অপ্রকাশ্যে দিবসগুলোক প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। দেশের উন্নয়নের সামনে বিকল্প কিছু না পেয়ে তারা ধর্মান্ধ স্লোগান দিচ্ছে। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা মনে করি না। তারা সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেয়। এই সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান পাকিস্তান থেকেই চলে আসছে।’ তোফায়েল আহমেদ ওই আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের বাবা (আজিজুল হক) কে ছিলেন? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে তা অশনিসংকেত। আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে। যতই খুশি করার চেষ্টা করি তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরবে না।’
তোফায়েল-আমুরা আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের চেতনাধারী রাজনীতিবিদ। তারা ভালোভাবেই জানেন আদর্শিক চর্চা দিয়েই রাজনীতিকে ও রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে নিতে হয়। তাই পাকিস্তান নামের ধর্মরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা দিয়েছিলেন নেতৃত্ব। তারা জানেন ধর্মভিত্তিক দুর্বৃত্ত সংগঠনের প্রতি আলগা দরদের ফল শুভ হয় না। তারা যেখানে তাণ্ডবের জন্যে হেফাজতের নাম উচ্চারণ করতে পারেন, দায় দিতে পারেন; সেখানে একই দলের অন্যেরা সেটা পারেন না!
মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের এই তাণ্ডবের পরেও যদি আওয়ামী লীগ তাদের হেফাজতবান্ধব নীতি না বদলায় তবে দিনশেষে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কওমিবাদী ও মওদুদিবাদীরা বাহ্যিকভাবে যতই দূরবাসী স্বজন হোক না কেন উভয়ের উদ্দেশ্য অভিন্ন, ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সাম্প্রদায়িকতা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হবে। আওয়ামী লীগ যতই নিজেদেরকে ধর্মের আশ্রয়স্থল দাবি করুক না কেন কওমিবাদীরা দিনশেষে সেটা বিশ্বাস করবে না, এখন করছেও না। তাই স্রেফ ক্ষমতার কারণে আদর্শচ্যুত না হয়ে তাদেরকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার চর্চার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবকে আড়াল করার সুযোগ নেই। তাদের অপরাধের দায় তাদেরকেই নিতে হবে, দিতে হবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)