শিশু আয়লানের নিথরদেহের ছবি যখন বিশ্বজুড়ে গভীর আবেগের জন্ম দিয়েছে, তখনও অভিবাসী সংকট ইউরোপের সমস্যা নয় আর গণহারে ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষে অভিবাসী গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে চরম অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছেন ইউরোপের নেতারা।
মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সিরিয়া থেকে-স্রোতের মত আসতে থাকা অভিবাসী পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে-তা নিয়ে চরম মতভেদ তৈরি হয়েছে ইউরোপে।
এদিকে শরণার্থী সংকট হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জার্মানিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিবাসী নিয়ে জার্মানির উদার নীতি বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে। কারণ, ইইউ দেশগুলোতে পৌঁছানো বেশির ভাগ শরণার্থীই জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আয়লান কুর্দির নিথর দেহের ছবি ব্রিটেন সহ ইউরোপের সব দেশের সংবাদপত্র, টিভিতে ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে। এই একটি ছবি যেন চলমান এই শরণার্থী সঙ্কটের ভয়াবহ এবং করুণ চিত্রটি সামনে তুলে ধরেছে।
অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার চেয়ে সংঘাতময় দেশগুলোতে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি অভিবাসন সংকট সমাধানে ইউরোপের সব দেশকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আজ ব্রাসেলসে প্রস্তাব করেছেন এক লক্ষ শরণার্থীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে ভাগ করে নিতে হবে।
ইউরোপে প্রবেশ করা অভিবাসীর সংখ্যা এরই মধ্যে রেকর্ড গড়েছে। কেবল জুলাইয়েই ইউরোপে প্রবেশ করেছে ১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী।