এশিয়ার অভিবাসী সংকটের দায় শুধুমাত্র তাদের উপর বর্তানো যাবে না বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের একসভায় দাবি করেছে মিয়ানমার।
ব্যাংকক বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়ের প্রধান হাতিন লীন বলেন, মানব পাচার ইস্যুতে তার দেশ সহযোগিতা করবে। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নৌকায় করে অবৈধ অভিবাসীর ঘটনায় আপনারা শুধুমাত্র আমাদের দেশকে দায়ী করতে পারেন না।
লীন বলেন, আঙ্গুলি নির্দেশ করে কোনো উদ্দেশ্য সাধন করা যাবে না। এভাবে কোথাও পৌঁছানো যাবে না।
অভিবাসী পরিস্থিতি ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা জানান। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলও সভায় উপস্থিত ছিলো।
থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক পাতিমাপ্রাগোর্ন বলেন, অবৈধ অভিবাসীর প্রবাহ চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে। যে মূল কারণগুলো অবৈধ অভিবাসীরা এই পথে আসতে তাড়িত হয় তা চিহ্নিত করতে হবে। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সাগরে ভাসা অবৈধ অভিবাসীদের বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান যু্ক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্র সচিব এনে রিচার্ড।
সম্প্রতি মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে। এমন প্রেক্ষাপটেই ব্যাংকক বৈঠক আহবান করে থাইল্যান্ড।