প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন টেরেসা মে। আর তাতেই চমক দেখিয়েছেন ব্রিটেনের ৭৬তম এ প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের নাম ঘোষণা ছাড়াও অন্যতম চমক ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য’ নামের নতুন একটি মন্ত্রণালয় গঠন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এক জাতি হিসেবে কাজ করে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যকে পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন টেরেসা।
মার্গারেট থ্যাচারের পর ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্রেক্সিটপন্থী নেতা বরিস জনসনের নাম ঘোষণা করেন। ক্যামেরন সরকারের চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্নকে অব্যাহতি দিয়ে ফিলিপ হেমন্ডকে ওই দায়িত্ব দেন টেরেসা।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে অ্যাম্বার রুড, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে মাইকেল ফ্যালন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নামের নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে লিয়াম ফক্স এবং ইইউ এক্সিট সচিব হিসেবে ডেভিড ডেভিসের নাম ঘোষণা করে টেরেসা সরকার।
এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। পরে বাকিংহাম প্যালেস থেকে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের ঘোষণা আসে।
এরপর নতুন সরকার গঠনের জন্য টেরেসা মেকে আহ্বান জানান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বক্তৃতায় তার সময়ে নেয়া অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ক নানা পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন। একই সাথে উত্তরসূরি টেরেসা মেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।