কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পাঞ্জাবকে সাত রান হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে কেকেআর।১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৫৭ রান করে পাঞ্জাব। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো সাকিবের কলকাতা।
শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল ১২ রান। হাতে ছিল চার উইকেট। ওই ওভারে চার রান আর তিন উইকেট হারলে জয় নিশ্চিত হয় কলকাতার।
কলকতার দেওয়া ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপযর্য়ের মুখে পড়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবঅ এন্ড্রু রাসেলের মারাত্মক বোলিংয়ে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন মার্কাস স্টোইনিস।
দলীয় ১৩ রানে জোড়া আঘাত আনেন রাসেল আর মরকেল। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ভোহরাকে (০) সাকিবের তালুবন্দী করে আউট করেন তিনি।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আবারো সাকিবকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে মুরালি বিজয়কে প্যাভিলনে ফেরান মরনে মরকেল।
সেখান থেকে ঋদিমান সাহা ও ম্যাক্সওয়েল ৪০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেনি এই জুটি। ঋদিমানকে (২০) রানে সরাসরি বোল্ড করেন পিযুষ চাওলা।
তবে একা লড়াই করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি ৪২ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছয়ে করেন ৬৮ রান। কলকতার বোলারদের মধ্যে এন্ড্রু রাসেল চার ওভারে ২০ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন। আর সাকিব আল হাসান তিন ওভারে ৩১ রানে উইকেট শূন্য থাকেন।
এর আগে দুই ওপেনার অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীর ও রবিন উথাপ্পার নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৬৪ রান করে কেকেআর।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতেই ১০১ রান যোগ করেন গাম্ভীর ও উথাপ্পা। গাম্ভীর ৪৫ বলে ছয়টি চার ও একটি ৫৪ রান করে রান আউট হয়। অপরদিকে উথাপ্পা ৪৯ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে ৭০ রান করেন। তিনিও গাম্ভীরের মতো রান আউট হন।