দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর ৪১তম পরিচালনা পরিষদের সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল বক্তব্য দানকালে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটি অর্জন করা যাবে না। দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরো একটু উদার হতে হবে।
ইফাদ এর এবারের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ফ্রাজিলিটি টু লং টার্ম রেসিলেন্স: ইনভেস্ট ইন সাসটেইনেবল রুরাল ইকোনোমি।’
বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে ইফাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনা বলেন, ইফাদ এর সহায়তার ও সহযোগিতার মডেলটি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা থেকে অনেক ভিন্ন। এই মডেল মানবতায় এখনকার মতো অনাগত দিনগুলোতেও কাজ করে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা স্থাপন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা যাবে না। গ্রামীণ সামাজিক ও জলবায়ুগত স্থিতিশীলতার উন্নয়নে একটি ব্যাপকভিত্তিক টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদীভাবে স্থিতিশীলতা আনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রায় এক দশক ধরে সুশাসন থাকায় বাংলাদেশ ভাগ্যবান। আমরা সতর্কতার সাথে চার বছরের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি হিসাব করে আমাদের কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং গত নয় বছর ধরে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে চাহিদা ও প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় করেছি।