চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দশ কোটি রুপির জাল মুদ্রা তৈরি হত বাড়িটিতে

রাজধানীর দক্ষিণ মনিপুর এলকার মোল্লা পাড়ার বাড়িটিতে দশ কোটি রুপির জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম ছিল বলে জানিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

এক লক্ষ রুপির জাল মুদ্রার চালানের বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকায় ১৫ হাজার টাকা পেত জাল মুদ্রা তৈরি চক্রের সদস্যরা। তারা জাল মুদ্রা তৈরিতে বিশেষ অভিজ্ঞ বলেও জানায় র‌্যাব।

রোববার রাতে দক্ষিণ মনিপুরের মোল্লা পাড়ার বাসায় তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনিপুরের ওই বাসায় জাল মুদ্রা তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব। পরে ওই বাসা থেকে প্রায় দশ কোটি টাকার জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম সহ দুই মহিলা রুমিসা ও আনুকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে মহাখালী থেকে বশির, আল আমিন ও খশরু এবং মিরপুর ১০ থেকে সেলিম, শাহীন ও সবুজকে আটক করা হয়।

এ সময় পঞ্চাশ লক্ষ ভারতীয় জাল মুদ্রা ও ৫ লক্ষ আসল বাংলাদেশি টাকা জব্দ করা হয়।

মুফতি মাহমুদ বলেন, বাড়িটিতে জাল মুদ্রা তৈরির সব কিছুই রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে মুদ্রা পরিবর্তন হয়েছে, সে সুযোগটি নেয় এই চক্র। চক্রটি উত্তরবঙ্গের বর্ডার এলাকা দিয়ে মুদ্রা ভারতে পাঠাত। জাল মুদ্রা গুলো গুণগত উন্নতমানের।

আটকদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায়, জাল মুদ্রাগুলোর চাহিদা আরেকটি গ্রুপের কাছ থেকে বশির ও শাহীন নিয়ে সেলিমকে জানাতো। সেলিম মুদ্রাগুলো প্রিন্টিং করত। এ কাজে তাকে সাহায্য করত তার স্ত্রী রুমিসা ও শ্যালিকা আনু।

জাল মুদ্রার দুই হাজার ও পাঁচশ’র নোট তৈরি করা হতো জানিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি তিনটি চালানের অর্ডার পায় চক্রটি। পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটি চালান সরবরাহও করেছে তারা। রাজধানীর এই বাড়িটিতে তিন বছর ধরে সেলিম ভাড়া থাকত। চক্রটি জাল মুদ্রা তৈরির ব্যাপারে ব্যাপক অভিজ্ঞ।

তিনি বলেন, চক্রের আরেকজন বশির দীর্ঘ পনেরো বছর মালেয়শিয়া ছিল। দেশে আসার পর এক ব্যক্তির কাছ থেকে জাল মুদ্রা তৈরির দীক্ষা নেয়।

মুফতি মাহমুদ বলেন, ধরা না পড়লে দশ কোটি টাকার জাল মুদ্রা তৈরি করতে পারত চক্রটি। এক লক্ষ টাকার জাল মুদ্রার চালান শেষে বাংলাদেশি টাকায় দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা পেত চক্রের সদস্যরা।

তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে চারজন এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে কারাবাস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য বের হয়ে আসবে।