সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতির পর তার ‘আমি রাজনীতিতে না থাকলেও’ শব্দগুলো অনেকের কাছে প্রশ্ন তৈরি করেছে। প্রভাবশালী এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কি আসলেই দলীয় রাজনীতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন? এরকম প্রশ্ন অনেকের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটা আশরাফের অভিমানের কথা। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আশরাফের প্রভাব কমবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনাকে খুবই সাধারণ একটি ঘটনা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেই একটা করতে পারেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। অন্যান্য দেশেও এমন ঘটনা দেখা যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজার কোনো অবকাশ নেই বা সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতিতে বিদ্রোহ হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শান্তনু মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমন কোনো সমস্যা আছে বলে আমার মনে হয় না।
‘মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির ঘটনায় সৈয়দ আশরাফের মধ্যে কোনো হতাশাবোধ আছে বলেও আমার মনে হয় না,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফের ইমেজ অনেক ইতিবাচক বলেও মনে করেন তিনি।
আশরাফের অব্যাহতির ঘটনা নিয়ে মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রথম পেজের খবর এটা নয়। প্রথম দিন হয়তো এটা বড় খবর। কিন্তু পরবর্তীতে খবরটিকে যেভাবে হাইলাইট করা হয়েছে তা গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি।
বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের (বিএফইউজে) সভাপতি এবং বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন এতে অনেক কারণ থাকতে পারে। দল তাকে অপছন্দ করতে পারে বা এমন কিছু বিষয়ও থাকতে পারে।
‘এখন তিনি যে রাজনীতিতে না থাকলেও’ কথাটা বলেছেন এটা তার অভিমানবশত কথা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে চূড়ান্তভাবে কিছুই বলা যাবে না। তবে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে।
আওয়ামী লীগকে অনেক বড় দল উল্লেখ করে মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কারণে আশরাফের ভূমিকা বা প্রভাব কমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন মঞ্জুরুল আহসান বুৈবুল
তিনি বলেন, জনমানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক থাকবে দলে তার প্রভাব থাকবে। মন্ত্রিত্ব না থাকার ফলে তার প্রভাব কমে যাবে তা মনে করি না।
রাজধানীতে শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা হোসেনপুর উপজেলা সমিতির ইফতার অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, মন্ত্রী থাকেন বা না থাকেন, রাজনীতি করেন বা না করেন; তিনি তার এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন।