দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
নবনিযুক্ত উপকমিটির নেতৃবৃন্দকে দলের শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন মেনে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকবে, তাদের বাদ দিতে হবে।ফ্রি স্টাইলে কোনো কিছুই করা যাবে না।
তিনি একজন ব্যক্তি একাধিক কমিটিতে থাকতে পারেন বলেও জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগে যদি কোনো সহযোগী বা অন্য কোনো কমিটিতে নাম থাকে, তাহলে পদত্যাগ করে আসতে হবে।
সভায় ৭৫ পরবর্তী সময়ে নারী বান্ধব সরকার হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নারী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগে তাদের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেয়েছে।
দেশের উন্নয়নে সকল নারী বান্ধব কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আহবান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কঠোর হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে, বলেন যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে এবং এখনো মাঠে আসে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অবস্থান স্পষ্ট।
তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের যারা মদদ অথবা উস্কানি দিচ্ছে তাদেরকেও একই শাস্তি পেতে হবে। সকল বিদ্রোহী ও উস্কানীদাতাদের অনতিবিলম্ব সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, না হয় দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে বলে জানান তিনি।
বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে এবং নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করলেই বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। তারা নামে মাত্র নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
ভোট থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে তাদের এজেন্টই ছিলো না। সেখানে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তা বিএনপির আমলেও পায়নি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।