চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দলের দাবি মেটানোই তামিমের কাছে মুখ্য

বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে আলাদা করে প্রস্তুত করছেন তামিম ইকবাল। যে কারণে দেশসেরা এ ওপেনার খেলছেন না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ব্যাটিং টেকনিকে যেখানে ঘাটতি অনুভব করছেন, তা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন নেটে।

ওপেনিংয়ে তামিম বাংলাদেশের ভরসার নাম। ইংল্যান্ডের মাটিতে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করেছিলেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপে তাকে ঘিরে সবার প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে। তামিম নিজে কী ভাবছেন বিশ্বকাপ নিয়ে, সে প্রশ্নে দলের প্রয়োজনের কথাই সামনে আনলেন এই ক্রিকেটার।

‘আমি কোনো লক্ষ্য স্থির করতে পছন্দ করি না। আমার যেই প্রক্রিয়া আছে, সেটা আমি মেনে চলার চেষ্টা করি। দল আমার কাছে যেই জিনিসটা দাবি করবে, আমি যেন সেই জিনিসটা দিতে পারি। এটাই আমার এক নম্বর লক্ষ্য।’

‘বিশ্বকাপের আগে কিছুদিন সময় আছে। তাছাড়া আয়ারল্যান্ড সিরিজ (ত্রিদেশীয়) আছে। সবার শক্তির জায়গা, দুর্বলতার জায়গা থাকে। আমি চেষ্টা করব আমার যেই দুর্বলতা আছে, সেই জায়গায় ৫-১০ ভাগ উন্নতি করতে। এই সময়ে হয়তো বড় উন্নতি আনতে পারব না। তবে দুর্বলতাগুলো যদি ৫-১০% উন্নতি করতে পারি, এটাই আমার প্রাপ্তি হবে।’

মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন নির্বাচকরা। স্কোয়াড নিয়ে তেমন বিতর্ক নেই। তবুও তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েসের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে চলছে কিছুটা আলোচনা-সমালোচনা। এ প্রসঙ্গে তামিম বললেন, ঘোষিত দলের ওপর সবাইকে ভরসা রাখতে।

‘আমার কাছে মনে হয় যে স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যেই খেলোয়াড়কেই নেয়া হোক না কেন, সবারই কিছু না কিছু ‘যদি…কিন্তু’ থাকবে। কিছু পছন্দ-অপছন্দ থাকবে। এটাই নিয়ম। স্কোয়াড গঠন করা খুব সহজ জিনিস না। অবশ্যই এখানে কিছু খেলোয়াড় আছে যারা খুব ভালো পারফর্ম করেছে কিন্তু সুযোগ হয়নি। আবার এমনও আছে যারা খুব ভালো করেছে এবং তাদের সুযোগও হয়েছে।’

‘আমার মনে হয় এখন কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হতো, এই আলোচনা না করে যেই ১৫ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি সমর্থন করা। দিন শেষে এটা বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলে ভালো হত, এমন কিছু করলে যারা সুযোগ পেয়েছে তারা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন মন ছোট না করে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা উচিত।’