দলিত ও সমতল আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় সরকারী-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গণমাধ্যমের কোনো বিকল্প নেই। আজ সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি আয়োজিত গণমাধ্যম সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রান্তিক ও মূল ধারার বাইরে জনগোষ্ঠিার নেটওয়ার্ক (এনএনএমসি) ও সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা হেক্স-ইপিআর এর সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, দলিত ও আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য বিশেষ আইনের প্রয়োজন আছে। আর এখানে গণমাধ্যমসমূহ একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে পারে। তারা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু দিবসে কিংবা উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা না ঘটলে প্রান্তিক ও বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠীর খবরাখবর সাধারণত গণমাধ্যমে আসে না।
বিষয়টি গণমাধ্যমসমূহের জন্য লজ্জাকর। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দলিত ও আদিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকদের যোগাযোগ বৃদ্ধি জরুরী। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন আছে বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
বক্তারা নিয়মিত রিপোর্টিং ও ফিচার প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমসমূহ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দলিত ও সমতল আদিবাসীদের জন্য গণমাধ্যমসমূহে বিশেষ ডেস্ক থাকতে পারে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমসমূহের মালিক ও নীতি-নির্ধারনী মহলের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক যোগাযোগ ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোকেও কাজে লাগানো উচিত বলে বক্তারা জানান।
একাত্তর টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান, শুচি সৈয়দ, শাহনাজ মুন্নি, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।