খেলাধুলার ঘরোয়া আসর, বিশেষ করে দর্শকশূন্য ফুটবল মাঠ এখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক পীড়াদায়ক নিয়মিত ঘটনা। সাবেক তারকারা বলছেন, অনেক কার্য-কারণের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী বড় ক্লাবের গুঁটিয়ে যাওয়াও অন্যতম বড় কারণ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গন জেগে উঠেছিল ঢাকার জায়ান্ট মোহামেডান-আবাহনীর দুরন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতায়। ঐতিহ্যের ধারক মোহামেডানের সাথে তারুণ্য ও আধুনিকতার আবাহনীর লড়াই সংক্রমিত হতো শহর-বন্দর, নগর-জনপদে।
সালাউদ্দিন, এনায়েত, সাব্বির-মুন্নার বাইরেও সামির শাকির-এমেকার মতো বিশ্বকাপ তারকাদের ফুটবল-যুদ্ধ দেখেছে ঢাকার মাঠ। প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছড়িয়েছে ক্রিকেট মাঠেও। ওয়াসিম আকরাম-ফেয়ারব্রাদারের আবাহনীর সঙ্গে রানাতুঙ্গা-জয়াসুরিয়ার মোহামেডানের।
হকিতে শাহবাজ-তাহির জামানের সাদা-কালোর সাথে ধনরাজ পিল্লাইদের আকাশী-হলুদের লড়াই এখনো অনেকের মধুরস্মৃতি। সেই সুদিন হারিয়ে বিবর্ণ ঢাকার ক্রীড়াঙ্গন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি ভরা দর্শক এখন শুধুই স্মৃতি
শুধু মোহামেডান নয়, বিজেএমসি, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও আজাদ বয়েজের মতো সফল ও জনপ্রিয় দলগুলোর পতনেও প্রভাবিত ঢাকার ক্রীড়াঙ্গন। নতুন ক্লাবগুলো বড় বাজেটের দল গড়ে সাফল্য পেলেও, পায়নি দর্শকপ্রিয়তা।
হারানো প্রতিদ্বন্দ্বীতা ফিরিয়ে আনতে ফেডারেশন ও ক্লাব ব্যবস্থাপনাকে রাজনীতিমুক্ত করার দাবি অনেকের। ঢাকায় ক্রিকেটের ধাক্কায় ফুটবল একেবারেই দর্শকশূন্য। কিন্তু, ক্রিকেটের ঘরোয়া আসরেও আগের মতো দর্শক কোথায়, সেই প্রশ্ন রেখেছেন সাবেকরা।
ভিডিও রিপোর্ট-