২২৭ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন মাত্র তিনজন শিক্ষক । এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়া বাকি দুজন অনিয়মিত হওয়ায় নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলের দপ্তরি। এ চিত্র বগুড়ার সারিয়াকান্দির মাঝবাড়ি চরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে প্রমত্তা যমুনা পাড়ি দিয়ে আরো কয়েক কিলোমিটার এগুলে দুর্গম চর-মাঝবাড়ি। চর জীবিকায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের অন্য চরের মতো এই চরে দারিদ্র্য কমলেও শিক্ষার আলোয় এখনো পিছিয়ে তারা। একটি মাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও তা চলছে ঢিমেতালে। তিন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়া বাকি দুজন আসেন যমুনার ওপার থেকে। সুতরাং স্কুলে প্রায়ই অনিয়মিত তারা।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুল হক বলে, আমাদের এখানে শিক্ষক সংকট বেশ আগে থেকেই। তারপরও গত বছর এখান থেকে মোট ২০ জন শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকলেই পাশ করে। এখানে যদি আরও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যেতো, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের যে লক্ষ্য সেটা অর্জন করা সম্ভব হতো।
স্কুলটিতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশ। তবে সে তুলনায় শিক্ষক না থাকার কারণে প্রতিদিনই সমস্যায় পড়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, মাঝে মাঝেই নৌকা ফেল করলে শিক্ষকরা আসতে পারেন না। এখানে আরও দু’জন শিক্ষক থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
সমস্যা সমাধানে নিজ থেকেই এগিয়ে এসেছেন স্কুলের দপ্তরি আব্দুল বাতেন। শিক্ষক সঙ্কটে মাঝে মাঝে নিচের শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাসও নেন তিনি। তবে অনেক দূর থেকে হেটে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, এভাবে দপ্তরি দিয়ে ক্লাস চলবে আর কতোদিন….।