থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। সামগ্রিক বিষয়ে নজর রেখেই যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
থার্টি ফাস্ট নাইটের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনার বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য শহরের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করবে। সেই সাথে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েনসহ ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রাখা হবে।থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। সামগ্রিক বিষয়ে নজর রেখেই যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ বছর বাড়ির ছাদেও প্রোগ্রাম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ডিএমপি। কমিশনার বলেন, বাড়ির ছাদে প্রোগ্রাম করে প্রতিবেশীদের বিরক্ত করা যাবেনা। রাজধানীতে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তোরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৩১ তারিখ সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে বন্ধ থাকবে সকল বার। এ বছর নারী উত্যাক্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি।রাত ৮ টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।কোথাও কোন ধরণের আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত আটটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ছাড়া কোন গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে অাছাদুজ্জামান মিয়া বলেন: উপর্যুক্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হলো।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ী নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।’বলেন-তিনি।
সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যারা বসবাস করেন না তাদেরকে এসকল এলাকায় না যাওয়ায় নিরুৎসাহিত করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সকলকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ৮ টায় বাড়ি ফেরার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে এ দু’টি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।