বান্দরবানের দুর্গম জনপদ থানচিতে চরম খাদ্য সংকটে কয়েক হাজার পরিবার। এই সংকটে প্রথম ধাপে ১৬ মেট্রিক টন ও পরে ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে প্রশাসন। চাহিদার তুলনায় যা খুবই কম।
থানচি উপজেলার দুর্গম পাড়াগুলোতে বসবাসরত পাহাড়ীদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম জুম চাষ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতবছর জুমের ধান ঘরে তুলতে না পারায় চলতি বছরের মার্চ থেকে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কেউ কেউ একবেলা ভাত আর আরেক বেলা খাচ্ছেন আলু বা মিষ্টি কুমড়া। জরুরী ভিত্তিতে সরকারী উদ্যোগে খাদ্য শষ্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
‘স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখানে আমাদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, দ্রুততার ভিত্তিতে আমাদের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
বৈরী আবহাওয়ায় গত বছর পাহাড়ে জুম চাষ করে যেটুকু ধান পেয়েছেন তা শেষ হয়ে গেছে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই। মিস্টি আলু ছাড়াও জঙ্গলী আলু আর কলা গাছ খেয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। থানচি থেকে দুর্গম রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের পরিস্থিতি আরো করুণ।
থানচি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বকুলি মার্মা বলেন, আমাদের এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতিটা এলাকায় গিয়ে তালিকা তৈরী করছি; কার কি সমস্যা আছে। এরই মধ্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।
নদীতে পানি না থাকায় সংকট কবলিত এলাকায় খাদ্য পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রসাশক দিলীপ বণিক বলেন, এখানকার খাদ্য সংকট অক্টোবর পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারকে আমরা ভিজিএফের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি। সংকট মোকাবেলায় পর্যাপ্ত খাদ্য-শষ্য রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।