‘নীলা আর ভুলুদের বাড়ী পাশাপাশি। দুই পরিবারের মধ্যে ভীষণ মিল। সবাই জানে ওদের ভাই বোনের মতো সম্পর্ক। আসলে ভেতরে ভেতরে তাদের কঠিন প্রেম। কিন্তু সমস্যা হলো ভুলুকে নীলার পরিবারের কেউ পছন্দ করে না। বাড়ির কাজের ছেলের মতো আচরণ করে তার সাথে। যা নীলা পছন্দ করে না। একদিন জানাজানি হয়ে যায় নীলা ও ভুলুর প্রেম কাহিনী। তুলকালাম বেঁধে যায় দুই পরিবারের।
নীলার পরিবার নীলার বিয়ে ঠিক করে শিক্ষিত ভদ্র পয়সাওয়ালা মেরাজের সাথে। অতি দ্রুত মেরাজ সকলের মন জয় করে নিতে থাকে। ভুলু সাহসই পায় না মেরাজের সামনে দাঁড়ানোর। বাধ্য হয়ে একদিন নীলাই পূর্বের সব কাহিনী খুলে বলে মেরাজকে। কিন্তু তাতে কী বিশেষ ফায়দা হয়? নীলার সাথে ভুলুর কি মিলন হয়, নাকি পরিবার মিরাজের সাথেই বিয়ে দেয় নীলাকে? নাকি এর পরিনতি অন্যকিছু হয়, যা এরআগে ভাবেনি দর্শক? নাকি শেষ পর্যন্ত নীলা, ভুলু আর মেরাজের মধ্যে সম্পর্কটি রূপ নেয় ত্রিভুজ প্রেমে?
প্রেম ও সম্পর্কের এমন সাসপেন্সধর্মী নাটকই লিখেছেন প্রখ্যাত গীতিকার রাজীব আহমেদ। যার নাম ‘নীলা, ভুলু ও মেরাজ’। নাটকটি নির্মাণ করেছেন এহসানুল হক চৌধুরী। শিগগির একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা এহসান।
নাটকটি নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের গল্প ‘নীলা, ভুলু ও মেরাজ’। রাজীব ভাইয়ের লেখা গান এমনিতেই আমার ভীষণ প্রিয়। ইদানিং তার লেখা বেশকিছু নাটকও মনে ধরেছে। আমার পরিচালনায় তার লেখা ‘নীলা, ভুলু ও মেরাজ’ নাটকটির গল্প শুনেই ভালো লেগেছিলো। সচরাচর ত্রিভুজ প্রেমের গল্প যেমন হয়, এটি তেমন নয়। টুইস্টটি এখনই বলছি না। আশা করছি দর্শকও নাটকটি পছন্দ করবেন।
ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে অসংখ্য নাটক সিনেমা নির্মিত হয়েছে, তবু কেন এই সময়ে এসে ত্রিভুজ প্রেমকেই বেছে নিলেন নাট্যকার? এমন প্রশ্নে রাজীব আহমেদ বলেন, আপনার প্রশ্নেই উত্তর আছে। কারণ, মানুষ দেখে বলেই অসংখ্য নির্মিত হয়েছে। মানুষ দেখে বলেই এমন একটি সাবজেক্ট বেছে নিয়েছি।
টানা দুইদিন উত্তরার বিভিন্ন শুটিং লোকেশনে দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন হয়েছে ‘নীলা, ভুলু ও মেরাজ’ নাটকটির। যেখানে নীলা চরিত্রে অভিনয় করেছন ছোট পর্দার এই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন। এছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভির, এস এন জনি, পিরজাদা ও শপ্না।