কোর্টনি ওয়ালশ এখনও আসেননি। ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের ক্যাম্প শুরুর পর পেসারদের নিয়ে কাজ করছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মঙ্গলবার সুজনের সঙ্গে যোগ হলেন বিসিবির একাডেমি কোচ চম্পকা রামানায়েকে। ছুটি কাটিয়ে রুবেল-মোস্তাফিজদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মাশরাফীও। পরে গুড লেংথে ক্যাপ দিয়ে মার্কার বানিয়ে একাডেমি মাঠে স্পট বোলিংয়ের অনুশীলন করে গেলেন প্রাথমিক দলে থাকা পেসারদের নিয়ে। জানালেন ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে চাওয়ার কথা।
গত কয়েকবছরে বাংলাদেশের জয়ে পেসাররা দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। পেসাররা যেদিন নির্বিষ থেকেছেন দলের পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। এসব বিবেচনায় ঘরের মাঠের সিরিজে পেসারদের ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফী। অধিনায়কের আশা, আসন্ন সিরিজে পেসাররা ফিরে পাবে ছন্দ।
‘গত তিন-সাড়ে তিন বছরে যা জিতেছি, জেতা ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন পেসাররা ভাল করেছে। আবার হেরে যাওয়া ম্যাচগুলোতে তাকালে দেখবেন, অতটাই খারাপ ছিল। আমাদের ধারাবাহিকতাটা যথাযথভাবে নেই। টানা ৯-১০টা ম্যাচ ভাল করলে, ধারাবাহিকতা থাকলে হয়ত আমাদের সুযোগ বেশি থাকবে। যে ম্যাচগুলো জিতেছি, সেখানে কেমন পরিবেশ ছিল, মাঠে যদি সেটা তৈরি করতে পারি তাতে সুযোগ বেশি থাকবে। আমার মনে হয় পেসাররা আবার ভাল করবে।’
সাউথ আফ্রিকা সফরে পেসাররা হতাশ করেছে। হোম সিরিজে তার প্রভাব পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নে মাশরাফী বললেন, ‘আমার মনে হয় না কঠিন কিছু হবে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। কারণ একটা সিরিজ দিয়ে সবকিছু বিবেচনা করা যায় না। নিউজিল্যান্ডেও ৩-০তে হেরে এসেছিলাম। কিন্তু এরকম চাপে পড়িনি। আফ্রিকায় প্রতিটি ফরম্যাটে বাজে খেলেছি। আমাদের এখন কাজ হবে ঠিক কাজটা করা। হোমের জয় বিদেশে কোন সহায়তা করবে না। কারণ হোম-অ্যাওয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান থাকে। হোমের সিরিজটা আমরা জিততে চাই। কিন্তু এটাকে বিদেশ সফরের সঙ্গে মেলানোর সুযোগ নেই।’
১৫ জানুয়ারি মিরপুরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। টুর্নামেন্টে অপর দল শ্রীলঙ্কা। তিন জাতির আসরে শিরোপা জেতার লক্ষ্যের কথা জানালেন মাশরাফী। সেটি হলে সাউথ আফ্রিকা সফরের হতাশাও কাটবে বলে মনে করছেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘অবশ্যই জেতার পরিকল্পনা থাকবে। ত্রিদেশীয় সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ। সাউথ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর সবাই হতাশ। আমরা যদি এটা জিততে পারি, তাহলে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে।’