চার বছর পর আগামী ২৫ ও ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কাউন্সিল। নেতৃত্বে পেতে আগ্রহীরা এরইমধ্যে তোড়জোর শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ‘ত্যাগী’ নেতাদেরই মূল্যায়ন করা হবে।
শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি মূলনীতি নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে এ ছাত্র সংগঠন।
তবে কম বিতর্কেরও জন্ম দেয়নি ছাত্রলীগ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন এর নেতা-কর্মীরা নানা ধরণের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়েন।
দু’ বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই মানা হয়নি সে নিয়ম। সর্বশেষ কাউন্সিলে ঘোষিত কমিটি দু’ বছরের জায়গায় চার বছর নেতৃত্বে থেকে কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী কমিটিতে নেতৃত্ব পেতে ২৯ বছরের সীমারেখা রাখা হবে কি-না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ কাউন্সিল প্রসঙ্গে বলেন, যারা সংগঠনের আদর্শ ও শৃংখলা মেনে এসেছে নতুন নেতৃত্বে তাদেরকেই দেখা যাবে।
চার বছর পর হলেও কাউন্সিলের খবরে খুশি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। নতুন কমিটিতে যেনো ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘সুবিধাবাদী’রা স্থান না পায় সেজন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ‘ত্যাগী’, ‘মেধাবী’ ও সততার মূল্যায়ন করার কথা জানালেন সংগঠনের সাবেকরা।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ছাত্রলীগকে সৃষ্টি করতে হবে। মেধাশীল, মননশীল মানুষদের সৃষ্টি করতে হবে। দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে, যাদের মাঝে দেশাত্মবোধ থাকবে। তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। তারা প্রশাসনের সর্বস্তরে ঢুকবেন। সেনাবাহিনীতে ঢুকবেন।
তিনি প্রত্যাশা করেন, ছাত্রলীগের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন।
কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগে ঢাকার দুই মহানগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কাউন্সিল হবে।