চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এসে সেমিতেই বিদায়। সময়টা একদমই পক্ষে নেই ভারতের। ভগ্ন হৃদয়ে দেশে ফিরে যে একটু শান্তি খুঁজবেন বিরাট কোহলি-রবি শাস্ত্রীরা, সেটিও সম্ভবত হচ্ছে না! ভারতীয় মিডিয়ার খবর, সেরা চারেই ফেরায় বোর্ডের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন ভারত অধিনায়ক ও কোচ!
সেমিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হারের পর ফাইনালে যেতে না পারার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যে বসে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। বিশ্বকাপ খেলতে যে মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গেছে দলটি, তাদের নিয়েও আছে বোর্ডের প্রশ্ন! বেশি মাত্রায় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা নির্ভর হওয়ায় দলের বাকিরা নির্ভার হয়ে গিয়েছিলেন কিনা, সেটাও জানতে চায় বিসিসিআই।
পুরো বিশ্বকাপে কোহলি-রোহিত আর লোকেশ রাহুল ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যানকে খুব একটা জ্বলতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ সময়ে পুরনো যোদ্ধা ধোনি ছাড়া মিডলঅর্ডারে বাকিরা ছিলেন নিস্প্রভ। অনেক আশা নিয়ে চারে নামানো বিজয় শঙ্কর প্রতিদান দিতে পারেননি। ধোনির ব্যাটিংও ছিল মন্থর!
অথচ বিজয়কে নিতে আম্বাতি রাইডুর মতো একজন পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানকে দেশে বসিয়ে রেখে যায় ভারত। অভিমানে শেষ পর্যন্ত অবসরেই চলে গেছেন রাইডু। ফর্মে থাকা রিশভ পান্ট শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে গেলেন ঠিকই, সেটা শেখর ধাওয়ান চোটে পড়ার পর। পান্ট ও রাইডু কেনো মূল দলে জায়গা পেলেন না সেটা জানতে শাস্ত্রীকে তলব করতে পারে বিসিসিআই। সেখানে থাকতে পারে আরও কঠিন সব প্রশ্ন!
সেমিতে হারের পর কোহলিদের বিপদের শুরু হয়ে গেছে ইংল্যান্ডে থাকতেই। পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট ও ফিটনেস কোচ শঙ্কর বসু। কোচিংস্টাফ থেকে পদত্যাগ কিংবা ছাঁটাই হতে পারেন আরও দু-একজন।
অন্যদিকে স্বস্তিতে নেই আইসিসিও। সেমির পর মহেন্দ্র সিং ধোনির রানআউটের এক ভিডিও প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। তাতে লেখা ছিল ‘আস্তা লা ভিস্তা, ধোনি!’ জনপ্রিয় হলিউড সিনেমা টার্মিনেটর-টু’তে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ডায়লগ অনুকরণেই সেই পোস্ট। তাতেই খেপেছে ভারতীয় দর্শকরা। পাল্টা জবাবে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটিকে ধুয়ে দিচ্ছে তারা! করণ, ধোনি তো অবসরের ঘোষণা দেননি। ‘আস্তা লা ভিস্তা, ধোনি’ মানে যে একেবারে বিদায় জানানো!