গত চার বছরে (২০১২-২০১৬) তৈরি পোশাকখাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমলেও বেড়ে গেছে পরিবারতন্ত্র। তাই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এই খাতের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারতন্ত্র কমিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার শ্রমিকের মধ্যে জরিপ চালিয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিপিডি।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে পোশাকখাতের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সিপিডির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই চার বছরে পোশাক খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ছিল ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। সেই হিসেবে চার বছরে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমেছে দশমিক ৭১ শতাংশ। আর সার্বিকভাবে এই খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যাও কমেছে।
এতে বলা হয়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গেলো কয়েক বছরে দেশের পোশাক খাতে সামাজিকভাবে অগ্রগতি হলেও অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি পিছিয়ে রয়েছে।
পোশাক কারখানাগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবারতন্ত্র বাড়ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ খাতে পরিবারতন্ত্রে পরিচালিত বোর্ডের হার শতকরা ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা বোর্ডের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য।
নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য কমেছে উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, পোশাক খাতে পুরুষ ও নারীর মজুরির ক্ষেত্রে গড়ে তিন শতাংশ বেতন বৈষম্য রয়েছে। পুরুষদের গড় বেতন ৭ হাজার ২৭০ টাকা, অপরদিকে নারীদের গড় বেতন ৭ হাজার ৫৮ টাকা। এছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের হার কমেছে বলেও জানানো হয়।
এসময় সংস্থাটির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, সিপিডির রিসার্চ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইসরাফিল আলম, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম, শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।