তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার ঘটনায় কমপক্ষে ৯০ জনের মৃত্যু এবং আরও ১১৫৪ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো। এছাড়া অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ১৫৬৩ জনকে গ্রেফতারের দাবি করেছে তুর্কি বিচার মন্ত্রণালয়।
অভ্যুত্থানকারীদের ব্যবহৃত বিমান ও হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার নির্দেশও সেনাবাহিনীকে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। এর আগে বিদ্রোহী সেনাসদস্যদের একটি হেলিকপ্টার আকাশে থাকা অবস্থায় তা গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
তুরস্কের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। হেলিকপ্টার হামলায় পুলিশ সদর দপ্তরে ১৭ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। তবে পার্লামেন্ট ভবনের সামনের বিস্ফোরণে হতাহতের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এখনো সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফের অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। তবে অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারী ৬০ জন ইতোমধ্যে এরদোগান সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বলেছেন, সেনাবাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন।
ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারা বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট চালু হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাজধানীতে মার্শাল ল’ এবং কারফিউ জারি করে। তবে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার কথা বললেও কারফিউ তুলে নেয়নি দেশটির সরকার। অবশ্য সেই কারফিউ চলছে বেশ ঢিলেঢালাভাবে। মানুষজন ধীরে ধীরে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। অল্প কিছু গাড়ি ও ট্যাক্সি চলছে।
দেশটিতে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এখনো বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগও। তুরস্কে থাকা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সাবধানে ও সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে তাদের নিজ নিজ দেশের সরকার।
শুক্রবার রাতে পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলার মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান শুরু করে তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ। তারা সরকার উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখলের দাবি করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে ও মানবাধিকার রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। ‘শান্তি পরিষদ’ এর মাধ্যমে দেশ চলছে এবং কার্ফিউ ও সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হয় বিবৃতিতে।