এ বছরের আলোচিত উপন্যাস মোজাফ্ফর হোসেন-এর ‘তিমিরযাত্রা’, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে রচিত। ডিসটোপিয়ান ধারার উপন্যাসটি নিয়ে লিখেছেন কথাশিল্পী প্রাবন্ধিক আদনান সৈয়দ।
বলতে অসুবিধা নেই সময়টাই এখন খারাপ। এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, যখন আমরা নানা কারণে দিশেহারা! আমরা সঠিকভাবে আমাদের ইতিহাস জানি না, আমাদের আত্মপরিচয় জানি না। সব নেই রাজ্যের বাসিন্দা আমরা। আমাদের রাজনীতির পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, চারপাশে শুধু নৈতিক পতনের শব্দ শুনি আর দেখতে পাই খাঁখাঁ করছে আদর্শের খরা, মানবতার পতন! ঠিক এই শূন্যতার মধ্যে এর পুরো ফায়দা নিচ্ছে কিছু সুবিধাভোগী, সাম্প্রদায়িক লোক, রাজনৈতিক দল। তখন এই যাত্রাপথ তিমিরযাত্রা ছাড়া আর কী? তারপরও দূরে কিছু আলোর রেখা জ্বলে ওঠে। সত্যকে আবিষ্কার করতে সেই আলো হাতে দৃঢ় আহ্বানের ডাক শুনতে পাই। এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেনের প্রথম উপন্যাস ‘তিমিরযাত্রা’। সন্দেহ নেই ‘তিমিরযাত্রা’ সেই এক খণ্ড আলোর দ্যুতি।
মানতে হবে কিছু কিছু গ্রন্থ সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে। এই এগিয়ে থাকার কারণে অনেক সময় পাঠক এবং সমকালীন সমাজকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, আবার কখনো কখনো হোঁচটও খেতে হয়। আগেই বলেছি, আমরা ইতিহাস ভুলে যাওয়া জাতি। দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়, এসব নিয়ে এখন আর আমরা মাথা ঘামাই না। এখন সমাজ এবং রাষ্ট্রে চলছে প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা। নৈতিকতা, আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এসব নিয়ে ভাবার আমাদের সময় কই? দেখতে পাই ফ্রয়েডের স্যাডিজম এবং ম্যাসোসিজম-এর ব্যবহারও উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে। কথা হল বর্তমান সময়ের পাঠক উপন্যাসটির এই ফ্রয়ডীয় তত্ত্বগুলোকে কতটুকু হজম করতে পারবেন, সেটিও উপন্যাসটির বড় চ্যালেঞ্জ।
উপন্যাসটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৪২, দেখে আপাতদৃষ্টিতে ছোট উপন্যাস বলে মনে হলেও এর পটভূমি এবং ঘটনার শিকড় অনেক গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মসহ সমাজ পরিবর্তনের নানা রকমের বাঁক পাতায় পাতায় বন্দি হয়েছে। একজন রাজাকারের রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাওয়ার খবরে আমরা এখন আর বিচলিত হই না, একজন রাজাকারের এই স্বাধীন দেশে মন্ত্রিত্বের খবরও আমাদের এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। একইসঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্ম নিয়েও রয়েছে কত হাজার রকমের ষড়যন্ত্র! অথচ এই ষড়যন্ত্রের ইতিহাসকে আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার তেমন স্বদিচ্ছা দেখি না। ইতিহাসের পাতায় যে গল্পগুলো স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে লেখার কথা ছিল, সে গল্পগুলি এখন আমাদের কাছে যেন নিতান্তই রূপকথা। দেশটির বয়স এখন পঞ্চাশ। এই পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক অমূল্য ইতিহাসই নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে। ‘তিমিরযাত্রা’র লেখক সম্ভবত সেই খেদ থেকেই বলছেন: ‘প্রত্যেকের একটা গল্প আছে। না শোনাতে পেরে গল্পটা তারা ভুলে গেছেন’।
চলুন, এবার উপন্যাসটির ভেতরে প্রবেশ করা যাক। আগেই বলেছি এর বিষয়বস্তু মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ, দেশভাগ এবং একইসঙ্গে রয়েছে নিজের আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান। এই আত্মপরিচয় অনুসন্ধান হতে পারে একজন ব্যক্তির, একটি সমাজের, আবার একটি রাষ্ট্রেরও। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা(শফিক) এবং মা(গীতা)। তাদের পুত্র সুরুজ কানাডা-প্রবাসী। কানাডায় তিনি লেখালেখি করেন। একটি পাণ্ডুলিপির বিশেষ অংশ রচনার জন্য দেশে আসেন। নিজের আত্মপরিচয় আবিষ্কারের অভিযাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই। তিনি তার আত্মপরিচয় জানতে চান। এই জিজ্ঞাসা থেকেই উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয়।
সুরুজ নিজে আত্মপ্রত্যয়ী, কিন্তু সংশয়ীও। সম্ভবত এই সংশয়ী মন থেকে লেখক নিজেও বলছেন: ‘কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকে না। সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেও না।’
কিন্তু একটি দেশ এবং জাতির জন্য আত্মপরিচয় জানা খুব জরুরি। সুরুজ কানাডা থেকে বাংলাদেশে এসে আবিষ্কার করেন তার বাবা মানসিকরোগী। মাও মানসিকভাবে অসুস্থ। বাবা কথা বলেন না। তিনি আলো ভালোবাসেন না। অন্ধকার পছন্দ করেন। ডাক্তারের পরামর্শে সুরুজ বাবাকে নিয়ে যান তার গ্রামের বাড়ি, মেহেরপুরে। সেখানে তিনি তার বাবার বন্ধু হাফিজ চাচার বাড়িতে আতিথেয়তা নেন। সেই হাফিজ চাচার মাধ্যমেই সুরুজ ধীরে ধীরে আবিষ্কার করেন বাবাকে। জানতে পারেন তার বাবা শফিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেই বাবাই এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। কেন একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে হয়? সচেতন পাঠকের মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা শফিক মাঝে মাঝে বলেন: ‘আমি কী যুদ্ধে গিয়েছিলাম? কেন একজন মুক্তিযোদ্ধার এই আত্মজিজ্ঞাসা? একজন স্বদেশের মুক্তির জন্য যুদ্ধে গেছে। কিন্তু একজন যোদ্ধা যখন জানতে চান তিনি কেনো যুদ্ধে গেছেন, তার সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়।’ [পৃষ্ঠা-৬৩]
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শুরু হয় আরেক ভয়াবহতা। ঘাপটি মেরে থাকা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ফের নতুন করে জেগে ওঠে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তারা নেমে পড়ে। কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধাকেও ক্ষমতা আর অর্থের লোভে পেয়ে বসে। হাফিজ চাচার কণ্ঠে সেই সুরটিই ধরা পড়ে: ‘কোন কোন রাজাকার সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বা তরুণ মুক্তিযোদ্ধার বিয়ে দিয়ে দিল। অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষমতাধর হয়ে উঠল স্বাধীনতাবিরোধীরা।’ [পৃষ্ঠা-৫২]
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধারা হয়ে পড়লেন সমাজের নিম্নশ্রেণির নাগরিক। পঁচাত্তরের পরে রাজাকারদের গাড়িতে মন্ত্রিত্বের পতাকা উঠল। হাফিজ চাচাও আক্ষেপ করে সেই কথা বলেন: ‘দুপুরে শুনলাম সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এর কদিন পর জেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হল জাতীয় চার নেতাকে। গ্রামের নোংরা রাজনীতির চেয়ে আরও কুৎসিত হয়ে উঠল জাতীয় রাজনীতি। তোমার বাবা যে রাজাকারকে গ্রামের অধিপতি হিসেবে মানতে চায়নি, তার চেয়ে কুখ্যাত রাজাকার দেশের মন্ত্রী হয়েছে। জাতি সবই মেনে নিল।’ [পৃষ্ঠা-৫৩]
শফিকের মতো আদর্শবান মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে বঞ্চিত হতে হতে একসময় ভারসাম্যহীন রোগীতে পরিণত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে সুরুজ তার জন্ম পরিচয়ও জানতে পারে। এতদিন যাকে বাবা হিসেবে ভেবে এসেছেন, তিনি আসলে তার বাবা নন। এমনকি তার মাও সত্যিকারের মা নন। গ্রামে সুরুজের বাবার মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়। এখানে উপন্যাসটি আরও একধাপ নতুন বাঁক নেয়। পাঠক তখন চলে যায় ’৭১-এর রণাঙ্গনে। ’৭১-এ রাজাকার আর তাদের দোসর পাকিস্তানী বাহিনীর নির্যাতনের ছবি তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেই নির্যাতনের শিকার সুরুজের মা-বাবা দুজনই। জানতে পারি, তার মা একসময় হিন্দু ছিলেন। হিন্দু হওয়ার অপরাধে তার জমি বাড়িঘর দখল করা হয়। তাকে তুলে দেয়া হয় পাকিস্তানী হায়েনাদের হাতে। তারপর কোনরকমভাবে সেই নির্যাতন থেকে একসময় তিনি মুক্তি পান। এদিকে মুক্তিযুদ্ধে একটা অপারেশনে আহত হয়ে সুরুজের বাবা নপুংসক হয়ে যান। দেশ স্বাধীন হলে তিনি আর গীতা যুদ্ধশিশু সুরুজের কথা ভেবে পরিচিত সমাজ থেকে পালিয়ে শহরে চলে আসেন। কিন্তু শহরেও তারা শান্তিতে থাকতে পারলেন না। ’৭৫-এর ঘটনায় প্রতিবাদী হওয়ায় শফিক চাকরি হারান। সেই কঠিন সময়ে সুরুজের মাকে বেছে নিতে হয় এমন একটি কাজ যা সমাজ অনুমোদন করে না।
সন্দেহ নেই উপন্যাসটি তার পাঠককে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। পাঠক নিজের তাগিদেই সময়ের কঠিন পর্দাগুলো খুঁড়ে-খুঁড়ে এক স্বর্ণাভ অতীত আবিষ্কারে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। যে অতীতের আয়নায় ধরা পড়ে মানুষের অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবিকতা এবং প্রকৃতির সাথে মানুষের জীবনের লেনদেন। অথচ মানুষ তার অতীত ভুলে যায়। ধর্মের নামে ভণ্ডামির আশ্রয় নেয়, পাশাপাশি শুরু হয় ওয়াহাবিদের সরব আস্ফালন। দেশ থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
রাজাকাররা তাদের পোশাক বদলিয়ে নতুন খোলসে দেশটির রাজত্বে নেমে পড়ে। মানুষ ধীরে ধীরে নতুন কৃত্রিম এক আদর্শহীন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অথচ এমন এক জীবন সে বেছে নেয় যে জীবন সত্যিকারের জীবন নয়। যে জীবন অচেনা এবং যে জীবন যাপন কোনভাবেই কাম্য ছিল না। একজন মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে, গ্রামের সালিশিতে মুক্তিযোদ্ধাকে হাতজোড় করে দাঁড়াতে হয় রাজাকারের সামনে। এই চরম প্রহসনই যেন এখন চরম বাস্তবতা! অথচ এই কঠোর আর কদর্য সময়েও আমরা আমাদের আলোকিত ইতিহাসকে দেখতে পাই না। আমাদের বিবেকও যেন পঙ্গু হয়ে গেছে। আমরা যেন অবলীলায় দেশের এই পঙ্গুত্বকে মেনে নিয়েছি।
উপন্যাসের আরেক বিষয় হল, আমাদের নৈতিক অবক্ষয়। এই উপন্যাসটিকে আমরা আমাদের অবক্ষয়ের দলিল হিসেবেও ভাবতে পারি। অবক্ষয়েরও একটা ইতিহাস থাকে! কানাডা থেকে সুরুজ এসেছিলেন তার আত্মপরিচয়ের খোঁজে, অথচ মনে হয় এই আত্মপরিচয়ের খোঁজে নেমেছে বাংলাদেশ নিজেই। সুরুজ এখানে একটি উপলক্ষ মাত্র!
আমাদের সমাজে এখন জং ধরে গেছে। আমাদের বিবেক বিভিন্ন সময়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। এখন যেকোনো বিবেকবান মানুষের প্রশ্ন অনেক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ হয়েছে কী? সমাজ পরিবর্তন হয়েছে কী? উপন্যাসের নায়ক সুরুজ এর জবাব দিচ্ছেন এইভাবে: ‘যদি সমাজটা না-ই বদলাতে পারবেন তাহলে স্বাধীনতার মূল্য কোথায়? কেন এত মারিয়া হয়ে দেশটাকে স্বাধীন করা?’ [পৃষ্ঠা-৮২]
উপন্যাসটির শব্দ নির্মাণে রয়েছে লেখকের অসাধারণ কল্পনার বুনন। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে লেখক এখানে যাদুবাস্তবতারও কিছু কাজ করেছেন। অবশ্য যে সমাজ স্বাভাবিক সমাজকে ধারণ করে না সেখানে যাদুবাস্তবতার মিশেল খুব অবাস্তব না। লেখক বলছেন: ‘পানিতে মাছের বদলে অনেকগুলো পুতুলকে সাঁতার কাটতে দেখি।’ আবার আরেক জায়গায় লিখছেন: ‘আমার পা তখন আকাশে, মাথার উপর পৃথিবী টলছে ছোট্ট ডিঙার মতো।’ যাদুবাস্তবতায় গোটা দেশটাই যেন উপুড় হয়ে ঝুলছে।
উপন্যাসটি পাঠ শেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনাকে আপনার মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। ফিরে দেখতে হবে আপনাকে, আবিষ্কার করতে হবে আপনার আত্মপরিচয়টাকেও। মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের অর্জন কতটুকু অর্জিত হয়েছে সেই নিয়েও আপনাকে ভাবনায় পেয়ে বসবে। এক আত্মবিস্মৃতি জাতি হিসেবে আমরা আর কতকাল বেঁচে থাকবো? তাহলে লেখকের খেদোক্তিই শিরোধার্য?
‘আমরা সকলেই মৃত। আমরা কেবল মনে করতে পারছি না আমাদের মৃত্যুর মুহূর্তটি।’
পাঠক হিসেবে উপন্যাসটির শেষপ্রান্তে এসে মনে হল লেখক উপন্যাসের লাগাম যেন একটু তড়িঘড়িই টেনে ধরেছেন। কেনো জানি মনে হচ্ছিল তিনি চরিত্রগুলোর ভেতর আরও একটু যেতে পারতেন। রাজনৈতিক পটভূমিকাগুলোর জটকে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারতেন। কিন্তু সাহিত্য সম্পর্কে সেই পুরনো একটি কথাই বলতে চাই— একটি শিল্পকে বিভিন্ন চোখে দেখলে সেই শিল্পটির আসল রূপ প্রকাশ পায়। স্টিফেন কিং ‘A memoir of the craft’-এ যেমনটা বলেছেন, ‘Writing is not life, but I think that sometimes it can be a way back to life.’
সামনের অনাগত পাঠক এই উপন্যাসটির আরও গভীরে প্রবেশ করে সেখান থেকে আরও বেশি মণিমুক্তা খুঁজে বের করবেন সেই প্রত্যাশা করতেই পারি।
তিমিরযাত্রা কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেন-এর প্রথম উপন্যাস। বলার অপেক্ষা রাখে না প্রথম কাজেই তিনি ব্যতিক্রমধর্মী একটি শিল্পকে আমাদের সামনে পরিচয় করে দিয়েছেন। লেখককে টুপিখোলা অভিনন্দন। সন্দেহ নেই এই গ্রন্থটি সময় উপযোগী সাহসী একটি পদক্ষেপ। স্বনামধন্য প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সকে অভিনন্দন এই সাহসী গ্রন্থটি প্রকাশ করার জন্যে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। গ্রন্থটির বহুল পাঠ ও প্রচার কামনা করছি।
বই আলোচনা: তিমিরযাত্রা (উপন্যাস)। লেখক: মোজাফ্ফর হোসেন। প্রকাশক: পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.। প্রচ্ছদ: জি জি। প্রকাশকাল: ২০২০। মূল্য: ২৭০টাকা।