চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

একজন উচ্চপদস্থ আমলার গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট এন্ড পিপলস রাইটস এর চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জহিরুদ্দিন লিমন আজ হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন।

এ রিটে তিতাসের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের ও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।  এছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।  বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে বলে জানান রিটকারি আইনজীবী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয় বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।  এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিতাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

তিতাসের মারা যাওয়ার বিষয়ে তার বড় বোন তন্নীসা ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখে দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে অর্ধলক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয় আইসিইউ সংবলিত অ্যাম্বুলেন্স।  কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি ঘাটে এসে থামে ওইদিন রাত আটটার দিকে।  পরে ঘাটে ফেরি পারাপারের জন্য তাঁরা ঘাট কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য, এমনকি জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করেও সাহায্য চান।  কিন্তু কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি। তিন ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকার পরে রাত পৌনে ১১ টার দিকে ভিআইপি সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাসটি ফেরিতে ওঠার পরে ফেরিটি ছাড়া হয়।  ফেরিটি ছাড়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই মাঝ নদীতে মারা যায় তিতাস।’