প্রথমদিন সবগুলো ভেন্যুতেই খেলা হয়েছে। দ্বিতীয়দিন থেকেই শুরু ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাব বিস্তার। তৃতীয় ও চতুর্থদিন তো ভেসে গেল বৃষ্টিতেই। তাতে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের চারটি ম্যাচই।
ঢাকা মেট্টো-ঢাকা বিভাগ
ফতুল্লায় ম্যাচে ছিল ফলাফলের সম্ভাবনা। তৃতীয় দিন পর্যন্ত খেলা গড়ালেও চতুর্থ দিনে পরাজয় মানতে হল বৈরি আবহাওয়ার কাছে। ম্যাচে ঢাকা মেট্টো ওপেনার সাদমান ইসলাম স্বরূপে ছিলেন। এবারের আসরে তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় শতক। মাত্র ১১ রানের জন্য পাওয়া হয়নি ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক। একই দলের হয়ে জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্পিনার আরাফাত সানির ৭ উইকেটও ম্যাচের প্রাপ্তি। ম্যাচ যদিও ফলহীন।
রংপুর-রাজশাহী
আবহাওয়া ভালো থাকলে ফল হতে পারতো এ ম্যাচেও। চার সেঞ্চুরিতে তিনদিনে রানবন্যা হয়েছে রাজশাহীতে। স্বাগতিকদের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, জুনায়েদ সিদ্দিকী শতক হাঁকিয়েছেন। তাদের ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে আলোচনায় লিটন দাসের ‘ডাবল’ সেঞ্চুরি। রাজশাহীর বোলারদের ছাতু বানিয়ে ১৪২ বলে ২০৩ রানের মারকাটারি এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
বরিশাল-খুলনা
দুই দলই খেলতে পেরেছে একটি করে ইনিংস। রান হয়েছে প্রতি ইনিংসেই। শতক হয়েছে কেবল একটি। ১১২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকা খুলনার পেস-অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। ৮১ রানের অপরাজিত ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনও।
চট্টগ্রাম-সিলেট
তিতলির কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের চট্টগ্রাম-সিলেট ম্যাচটি। প্রথমদিনের পর বাকি তিন দিনে একটি বলও গড়ায়নি মাঠে। চট্টগ্রামের ওপেনার সাদিকুর রহমানের ১০৬ রানের ইনিংসটিই এ ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক।