রোনাল্ড কোম্যান এসেই শুদ্ধি অভিযানে নেমেছেন। লুইস সুয়ারেজ, আর্তুরো ভিদালকে বার্সেলোনা ছাড়া করার ব্যবস্থা করেছেন। আগেই ক্লাব ছেড়েছেন ইভান রাকিটিচ। জর্ডি আলবা, সার্জিও বুস্কেটসদেরও প্রয়োজনে তৈরি থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ডাচ কোচ।
যাদের বাতিল তালিকায় ফেলেছেন কোম্যান, সবারই বয়স ত্রিশের বেশি হওয়ায় সমর্থকদের তেমন আপত্তি ছিল না। একটা নাম অবশ্য বেশ আলোচনার কেন্দ্রে, রিকি পুইক, যাকে ভাবা হচ্ছে জাভি-ইনিয়েস্তার উত্তরসূরি হিসেবে। লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এ মিডফিল্ডারকে নতুন ক্লাব খুঁজতে বলে বেশ সমালোচনা কুড়িয়েছেন কোম্যান।
হুয়ান গাম্পার ট্রফিতে এলচের বিপক্ষে ম্যাচে খেলানো হয়নি পুইককে। তারপর থেকেই গুঞ্জন, তাকে বার্সা ছাড়তে বলা হয়েছে। হয় তাকে ধারে অন্য ক্লাবে খেলতে পাঠানো হবে, নয়তো একেবারে বিক্রিই করা হবে।
গুঞ্জন যে সত্যি, সেটা পুইক ও তার বাবার সঙ্গে ক্লাবের মিটিং থেকেই বোঝা হয়ে গেছে। পুইকের বাবা ক্লাবকে জানিয়েছেন, তার ছেলে কিছুতেই বার্সা ছাড়ছেন না, হোক সেটা ধারে। বার্সার মূল একাদশে জায়গা করে নেয়ার জন্য তার ছেলে সর্বোস্ব উজাড় করে দেবে বলেই জানিয়েছেন পুইকের বাবা কার্লোস।
আসলে সমস্যা হয়ে গেছে কোম্যানের খেলার ধরনে। অতীতে কিকে সেতিয়েনের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে বদলা-বদলি করে খেললেও কোম্যানের নতুন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে পুইকের জায়গা নেই বললেই চলে। এখানে দলের মূল তারকা লিওনেল মেসিকে আক্রমণের ডানপ্রান্ত ধরে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলাবেন ডাচ কোচ।
সেটাই আবার পুইকের আসল জায়গা। দলে জায়গা করে নিতে হলে তাকে লড়তে হবে ফিলিপে কৌতিনহো ও অ্যান্টনিও গ্রিজম্যানের সঙ্গেও। যেখানে মেসির কারণে এ দুই তারকা ফুটবলারেরই জায়গা হওয়ার সুযোগ কম, সেখানে পুইককে কীভাবে জায়গা করে দেবেন সেই ভাবনা থেকে তাকে ক্লাব ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কোম্যান।
যদি দলে জায়গা করে নেওয়ার স্বার্থে নিচেও নেমে আসেন পুইক, সেখানেও তাকে লড়তে হবে। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, সার্জিও বুস্কেটস আর জুভেন্টাস থেকে আসা মিরালেম পিয়ানিচকে ঠেলে তার যে জায়গা হবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই কোম্যান অন্তত তাকে ধারে পাঠিয়ে আরও শাণিত হওয়ার সুযোগ দিতে চান।