চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তার আগে চাই ডাকসুতন্ত্র

শিরোনামটা দেখে কেউ ভড়কে যাবেন না। কোনো আঞ্চলিকতা দোষের মতো শুধু ডাকসুর কথা বলছি না। মেট্রোরেল নিয়ে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এরকম সব ক্ষেত্রে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেনো ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি সেই কথাই বলার চেষ্টা করছি। এখানে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ)-তন্ত্রের কথা বলছি প্রতীকি অর্থে।

তবে তার আগে ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি।

তখন আমরা নবম শ্রেণি, তখন আমরা ষোল। হঠাৎ মাথায় ভুত চাপলো। একদিন ক্লাস থেকে সবাই বেরিয়ে গেলাম। আমাদের দেখাদেখি ছোট ক্লাসের অন্যরাও। শুধু ক্লাস টেনের শাখাগুলোতে ক্লাস চলছে। বেরিয়ে যাওয়ার উদ্যোক্তা আমরা কয়েকজন। তাই স্কুল থেকে বেরিয়ে অন্যরা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করে জানলো, স্কুলে স্ট্রাইক; মানে ছাত্র ধর্মঘট।

স্কুলের সামনে রাস্তায় ব্যাপক হট্টগোল। কেউ কেউ স্লোগান দেওয়ার চেষ্টাও করছে। তখন হুট হাট গাড়ি ছিলো না, রিকশায় কিংবা হেঁটে যাওয়া-আসার পথে উৎসুক মানুষ জানতে চাচ্ছিলেন, ‘গ্যাঞ্জামের’ কারণ কী? উত্তরে কলার নেড়ে জানানো হচ্ছিলো, স্ট্রাইক। শুনে মনে হয় রাস্তা দিয়ে যাওয়া মানুষেরা খুব উৎফুল্ল হচ্ছিলেন। দুয়েকজন ‘চালিয়ে যাও’ উপদেশও দিয়ে গেলেন।

আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যায় যাদের দেখলে এক পর্যায়ে স্কুলগেটে সেইরকম কয়েকজন শিক্ষকের দেখা মিললো। বন্ধ গেটের ভেতরে তারা, আমরা বাইরে। তারা জানতে চাইলেন, বাবারা, তোমরা স্কুলের বাইরে কেনো? ‘স্ট্রাইক’ জানানোর পর তারা বললেন, ঠিক আছে; ভেতরে আসো, কথা বলো। কিন্তু, আমাদের সাফ কথা, স্ট্রাইক চলছে, স্কুলের ভেতরে যাওয়া যাবে না। আমাদের পরম পূজনীয় শিক্ষকরা বললেন, স্ট্রাইক ঠিক আছে। কিন্তু ভেতরে আসো, কথা বলি, সমস্যা থাকলে সমাধান করি।

‘বিপ্লবী-বিদ্রোহী-প্রতিবাদী’ আমরা কোনোভাবেই ভেতরে যাবো না। স্কুলগেট পেরিয়ে গেলেইতো আর স্ট্রাইক থাকলো না! সুতরাং, কোনোভাবেই আমরা ভেতরে যাবো না, ক্লাসরুমে যাওয়ারতো প্রশ্নই উঠে না। স্যাররা এবার বললেন, স্ট্রাইক করেছো, নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। কারণগুলো শুনি, সমাধান করি। আমাদের অনঢ় অবস্থান দেখে স্যাররা বললেন, তোমরা নিশ্চয়ই স্ট্রাইক চালিয়ে যেতে চাও না। স্ট্রাইকের নিশ্চয়ই কারণ আছে। সুতরাং, তোমাদের যে দাবিতে স্ট্রাইক সেটার সমাধান করে দিলেইতো হয়।

এবার আমরা বুঝলাম, তাইতো, স্ট্রাইকতো নিশ্চয়ই সুনির্দিষ্ট কারণে, সুনির্দিষ্ট দাবিতে। আমরাতো আর এমনি এমনি স্ট্রাইক শুরু করিনি। দাবি আদায়ের জন্য স্ট্রাইক করেছি। আলোচনায় না বসলে দাবি কিভাবে আদায় হবে!

চরম হট্টগোলের মধ্যে আমরা স্যারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে একমত হলাম। ক্লাস নাইনের ‘ক’ শাখার ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি মুখ্য আলোচক। সঙ্গে অন্য শাখাগুলোর ক্যাপ্টেন আর শরীর-স্বাস্থ্যে বড় এরকম কয়েকজন পেছনের সারির সহপাঠী। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন রথীবাবু স্যার, খগেনবাবু স্যার, অপরেশবাবু স্যার, শাহজাহান স্যার এবং আজাহার স্যার। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আর সহকারী প্রধান শিক্ষক জ্যোতিষ চক্রবর্তী স্যার না থাকায় শুরুতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। তবে, রথীবাবু স্যারসহ অন্য শিক্ষকদের দেখে মনে মনে ঠিকই ভয়ে কম কম্পমান ছিলাম না।

যাই হোক, আলোচনার শুরুতেই স্যাররা বললেন, তোমাদের দাবিগুলো কী কী? তাদের কথায় আমাদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। আমরা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছি, আমাদের দাবীগুলো কী কী? সবাই শুধু বলছে, টিফিনের মান বাড়াতে হবে, টিফিনের মান বাড়াতে হবে। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বললাম, টিফিনের মান বাড়াতে হবে। রথীবাবু স্যার বললেন, আর কী দাবি? আমরা একে অন্যের মুখ চাওয়া চাওয়ি করি। কিন্তু আর কোনো দাবির কথা বলতে পারি না। স্যাররা বললেন, বাবারা, এভাবে কি আন্দোলন হয়? সাবেক ছাত্রকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা আজাহার স্যার বললেন, কোনো আন্দোলন করতে হলে আগে দাবিগুলো লিখে নিতে হয়। তারপর কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। কর্তৃপক্ষ সমাধান না করলে ধর্মঘটের ঘোষণা দিতে হয়। হুট করে স্ট্রাইকে যাওয়া যায় না।

আমাদের গলদঘর্ম অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে স্যাররা বললেন, ঠিক আছে। তোমরা আধাঘণ্টা সময় নাও। এর মধ্যে দাবিগুলো লিখো। এরপর আমরা আবার আলোচনা করি।

পরের আধাঘণ্টা আমাদের মধ্যে ব্রেইনস্টর্মিং চললো। কিন্তু, উন্নত টিফিন ছাড়া আর কোনো দাবির কথা আমাদের মাথায় আসলো না। শেষ পর্যন্ত আমি শুধু একটা দাবি যোগ করতে পারলাম যে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি নিয়মিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করতে হবে।

শিক্ষকদের সঙ্গে পরের দফা সংলাপে এই দুই দফা ছাড়া আর কোনো দাবি না দেখে স্যাররা বললেন, এরকম দুটি মাত্র দাবির কারণে স্ট্রাইক করেছো জানলে হেডস্যারতো তোমাদের টিসি দিয়ে বিদায় করে দেবেন। তাই তারা নিজেরাই কয়েকটা দাবি জানানোর পরামর্শ দিয়ে আবার লিখে দিতে বললেন। নীচে অবশ্য এটাও যোগ করে দিতে বললেন যে না বুঝে হুট করে ধর্মঘট করার কারণে আমরা শুধু দুঃখিতই না, আন্তরিকভাবে ক্ষমাও প্রার্থী।

এভাবেই সেদিন একটি ধর্মঘট মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুচলেকা দিয়ে শেষ হয়। তবে মুচলেকা দিতে হওয়ার কারণে আমরা লজ্জিত ছিলাম না। প্রথমতঃ মুচলেকাটি দিয়েছি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কাছে। দ্বিতীয়তঃ প্রায় দাবিহীন ধর্মঘটের কারণে আমাদের স্কুলটিতে কিছু পরিবর্তন এসেছিলো। এজন্য বরং আমরা গর্বিতই বোধ করতাম।

ওই ধর্মঘটের কারণে স্কুলে সাংস্কৃতিক চর্চা অনেক বেড়েছিলো। পরের বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে শুধু আমাদের স্কুলেই স্মরণসভা হয়েছিলো। আগেরদিনের পত্রিকার শিরোনাম ‘নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে ময়মনসিংহে কোথাও কোনো অনুষ্ঠান হয়নি’ সংশোধন করে পরদিন আমাদের স্কুলে আলোচনাসভা হওয়ার খবরটি ছাপা হয়েছিলো।

এরকম যেকোনো ‘আন্দোলন’ই কিছু না কিছু ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। এমনকি ‘অযৌক্তিক’ আন্দোলনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেয়। ভবিষ্যতে কোনো যৌক্তিক আন্দোলনও যাতে গড়ে উঠতে না হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেদিকে উৎসাহিত করে।

এই যে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক আন্দোলন যে গড়ে উঠে এটার কারণ কিন্তু তারুণ্য যাকে আমরা বলি ‘বয়সের দোষ’ বা ‘বয়সের গুণ’। এখন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেট্রোরেলবিরোধী একটা আন্দোলন দানা বাঁধছে সেটার কারণ কিন্তু এই তারুণ্য। এটা বোঝার যথেষ্ট কারণ এবং যুক্তি আছে যে এই আন্দোলনে কারো কারো উস্কানি আছে, কারো কারো দলীয় বা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা আছে, কিন্তু একইসঙ্গে সেখানে একটা অংশের আছে তারুণ্যের আবেগ। তাই ঢালাও সমালোচনা না করে, তাদের দাবির মধ্যে যুক্তি না থাকলেও আবেগের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হবে, আবেগটিকে সম্মান করতে হবে।

সেই সম্মান এবং বিবেচনায় নেওয়ার একটি প্রকাশ হতে পারে তাদের সঙ্গে আলোচনা। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে কারা সেই আলোচনায় বসবেন? স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুরু হওয়া এই আন্দোলন হয়তো একটি অস্থায়ী সাংগঠনিক কাঠামোও পাবে। কিন্তু উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ– হোক সেটা সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন– তাদের কাছে এই আন্দোলনকারীরা কি সত্যিকার অর্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতিনিধিত্ব করে? সত্য যে তারা একটি অংশের আবেগকে ধারণ করছে, যতো ছোটই হোক একটি অংশের চেতনাকে প্রকাশ করছে; কিন্তু সামগ্রিক অর্থে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না। সেটা ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল কিংবা ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্র ফ্রন্টও করে না।

এই প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন থেকেই ডাকসু প্রসঙ্গের অবতারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজকে বৈধভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে একমাত্র ডাকসু এবং বিভিন্ন হল সংসদ। কিন্তু, ৯০ সালে আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র তখন যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিলো এরপর আর কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর কারণ বহুবিধ। এর মধ্যে যেমন দলীয় রাজনীতি আছে, সময় সময় কয়েকজন ছাত্রনেতার স্বার্থ আছে তেমনি শিক্ষক ও শিক্ষক রাজনীতিরও একটা ভূমিকা আছে।
মেট্রোরেলকে কেন্দ্র করে প্রসঙ্গটি হয়তো আবার আসলো। কিন্তু, যে কোনো বিষয়ে যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে বৈধ ছাত্র সংসদ থাকাটা খুবই জরুরি। সামরিক শাসকদের সময় সেই ছাত্র সংসদ ছিলো, কিন্তু ১৯৯০ সালে নতুন করে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরুর পর আমরা এ বিষয়টি জোর করে বিদায় করে দিয়েছি। গত ২৫ বছরে লাখ লাখ শিক্ষার্থী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে গেছে, কিন্তু ছাত্র সংসদ দেখেনি। এরকম একটি বিষয় যে আছে সেটাই হয়তো অনেকে জানে না।

আমরা যখন গণতন্ত্র চর্চায় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে যাচ্ছি তখন দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির প্রাথমিক চর্চার যে জায়গা ছাত্র সংসদ তার নির্বাচন বন্ধ রেখেছি। এটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য না। এমনকি যারা ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতা করেন তারাও নিশ্চয়ই একমত হবেন যে ছাত্রসমাজের বৈধ প্রতিনিধিত্বের জন্য, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির জন্য, ছাত্রসংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য, শিক্ষা কার্যক্রম সহায়ক ক্যাম্পাসের জন্য, সবচেয়ে বড় বিষয় গণতান্ত্রিক একটা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র সংসদ এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া খুব জরুরি।

মাঝখানে সংবাদে দেখেছিলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভোটের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেটা হোক, ক্ষতি নেই। কিন্তু খবরটি পড়ে এবং দেখে একথা ভেবে হাসি পাচ্ছিলো যে যেখানে সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি থাকার কথা সেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ আছে।

এ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়াটা এজন্যও দরকার যে ভষ্যিত নেতৃত্ব তৈরির জন্য ছাত্ররাজনীতি যেহেতু অব্যাহতই থাকবে তাই তাদেরকে ছাত্রজীবনে প্রতিযোগিতামূলক নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ করা হোক। এতে একদিকে তারা যেমন নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে তেমনি ছাত্ররাজনীতিও অছাত্র এবং মাস্তানমুক্ত হবে। দুয়েকটা অঘটন যে ঘটবে না, এমন না। কিন্তু, ছাত্র রাজনীতিকে পাড়া-মহল্লা আর উত্তর-দক্ষিণ থেকে মুক্ত করে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক করা গেলে ছাত্রনেতারা ছাত্র সংসদে নির্বাচিত হওয়ার আকাঙ্খা থেকে হলেও অনেক অনাকাঙ্খিত বিষয় থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখবে।

গোয়েন্দা সংস্থার কষে দেওয়া ছকের বদলে এরকম ছাত্রনেতারা যখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দল এবং সরকারের পরিকল্পনার অংশ হবে তখন দল, সরকার এবং দেশের জন্য তারা বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। আর সময় সময় যে নানা কারণে নানা জায়গায় ছাত্রদের আন্দোলন গড়ে উঠে সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রাখার জন্যও ছাত্র সংসদ রাখা খুব জরুরি। হারজিতের চিন্তা না করে ডাকসু দিয়েই সেটা শুরু করা হোক।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)