চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তামিম-মুশফিক-সাকিবে লড়াইয়ের পুঁজি

নড়বড়ে শুরুর পর এলো দুর্দান্ত এক জুটি। তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বাংলাদেশ পেল বড় সংগ্রহের ভিত। তারা পরপর সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াকু পুঁজি।

মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে টিম টাইগার্স তুলেছে ২৫৫ রান। সিরিজ হার বাঁচাতে ক্যারিবীয়দের করতে হবে ২৫৬।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

একসঙ্গে খেলা পাঁচ ক্রিকেটারের শততম ম্যাচ। মাইলফলকের ম্যাচে ফিফটি পেলেন মুশফিক, তামিম, সাকিব। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলে যান ৩০ রানের ইনিংস। চার সিনিয়র ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন রান। পঞ্চপাণ্ডবের দলনেতা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মুখে তখন চওড়া হাসি।

সিরিজ শুরুর আগেই অধিনায়ক মাশরাফী বলেছিলেন, মিরপুরে ২৬০ হলে খুব ভালো স্কোর। তার কাছে যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। অন্য বোলারদের নিয়ে সিরিজ বগলদাবা করার কাজটা এখন মাশরাফীর কাঁধে।

অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে সিরিজ জয়ের মিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। তিনে নামা ইমরুল কায়েস রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরলে চাপ বাড়ে স্বাগতিক ড্রেসিংরুমে। দলের রান তখন ১৪। ওশান টমাসের বলে উইকেটরক্ষক শাই হোপের গ্লাভসে ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

তামিমের সঙ্গে মুশফিক জুটি বেঁধে পার করেন দলীয় একশ। ৫০ রান করে দেবেন্দ্র বিশুর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন এ বাঁহাতি ওপেনার। ভাঙে ১১৪ রানের জুটি। তামিমের ৬৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার।

বড় ইনিংসের পথ তৈরি করে তামিমের পর সাজঘরে ফিরে যান মুশফিকও। টমাসের দ্বিতীয় শিকার হন হোপের হাতেই ক্যাচ দিয়ে। মি. ডিপেন্ডেবলের ৮০ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।

১৩২ রানের তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেট জুটির ৫১ রান দলীয় সংগ্রহ নিয়ে যায় দুইশর কাছে। ৫১ বলে ৩ চারে ৩০ রান করে অফস্পিনার রোভম্যান পাওয়েলকে উইকেট দেন এ ডানহাতি রিয়াদ।

সাকিব ফিফটি তুলে নেন ৫৪ বলে। ৪৬ রানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এ বাঁহাতি। তবে ওভার স্টেপিংয়ে বলটি নো হওয়ায় বেঁচে যান। সাকিব পরের বলে ছক্কা মেরে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি। ৬৫ রান করে বোল্ড হন কেমার রোচের বলে। ৬২ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার, একটি ছক্কা।

৫ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে বাইরে চলে যাওয়া লিটন ব্যাটিংয়ে ফেরেন ইনিংসের শেষ দিকে। ৩ রান যোগ করে কিমো পলের বলে আউট হন। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাতে নামা সৌম্য সরকার। ৬ রান করে এ বাঁহাতি টমাসের বলে পেরিস্কুপ খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে বিশুর হাতে ধরা পড়েন। মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ও মাশরাফী ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এ ম্যাচে প্রত্যাশিত সাফল্য এলে টানা তিনটি সিরিজ জেতার গৌরবে নাম লেখাবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে টানা চারটি সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। সেটিই সেরা সাফল্য। চলতি বছর তিনটি সিরিজই পেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে উইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ জিতে নেয় টাইগাররা।

এবার ঘরের মাঠেও তাদের হারাতে মরিয়া স্বাগতিকরা। গত মাসে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে লাল-সবুজের দল। এবছর তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। অল্পের জন্য জেতা হয়নি শিরোপা, রানার্সআপ হয় মাশরাফীর দল।