অবসাদ কাটাতে তামিম ইকবাল ছুটি চেয়েছিলেন। তাকে ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে খেলছেন না এ বাঁহাতি ওপেনার।
সামনের দুটি সিরিজে তামিম বিশ্রামে থাকায় অন্য ওপেনারদের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকাদের একজন জহুরুল ইসলাম অমি। প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে ৬ বছর আগে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে।
জহুরুলকে বিবেচনা করা হচ্ছে মূলত টেস্ট সিরিজের কথা মাথায় রেখে। যেখানে তার লড়াই করতে হবে ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম ও লিটন দাসের সঙ্গে।
তামিমের অভাব পূরণ করা কঠিন। তবে এটি যে অন্যদের জন্য বড় একটা সুযোগ সেটি অকপটেই বললেন জহুরুল, ‘তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। ওর জায়গা পূরণ করাটা কঠিন। এখন একটা সুযোগ, যারা বাকিরা আছে সাদমান, ইমরুল, আমি, সৌম্য। টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। যদি এখানে পারফর্ম করা যায় তাহলে সব ফরম্যাটেই পারফর্ম করা সহজ। আমি বলব, যেহেতু তামিম নেই, তাই যারা থাকবে তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ।’
বাংলাদেশের জার্সিতে সাতটি টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন জহুরুল। ২০১৩ সালের পর আর আসতে পারেননি জাতীয় দলের আঙিনায়। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিসিবি একাদশের হয়ে ভারত সফরে ভালো ব্যাটিং করায় চলে আসেন নির্বাচকদের ভাবনায়। প্রাথমিক দল থেকে ১৪ সদস্যের মূল স্কোয়াডে নির্বাচকেরা তাকে রাখেন কিনা সেটিই এখন দেখার।
গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে টানা দুটি হোম সিরিজে তামিমের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন ফজলে রাব্বি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাদমান ইসলাম। চমক হয়ে বাংলাদেশ দলে আসা দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ফজলে রাব্বি ব্যর্থ হলেও সাদমান নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন। তামিমের জায়গায় এবার যদি ৩২ বছর বয়সী জহুরুলকে ফেরানো হয় সেটিও হবে বড় চমক।