ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১০ রানের দারুণ জয়ে টানা সাফল্যের হাসিতে মেতেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে লিটন-সৌম্যদের এটি তিন ম্যাচে নেমে তৃতীয় জয়। বিপরীতে তামিমের দলের দ্বিতীয় হার।
সোমবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুরের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪১ পর্যন্ত যেতে পারে ফরচুন বরিশাল।
উদ্বোধনীতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত ছিল লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে। স্থায়ী হয়নি ৫ করে সৌম্য ক্যাচ দিলে।
চট্টগ্রামের ইনিংস পরে মেরামতের দায়িত্ব নেন লিটন ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ২ চার এক ছয়ে ১৩ বলে ঝটপট ১৭ তুলে মিঠুন ফিরলে ভাঙে ২৮ রানের জুটি।
সেখান থেকে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। সেই জুটিও বাড়েনি, লিটন ফিরে যাওয়ায়। ৪ চারে ২৫ বলে ৩৫ তুলে মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি ওপেনার।
পরপরই জিয়াউর রহমান ২ রানে ফিরলে রানের গতি কিছুটা কমে যায়। মোসাদ্দেক তখন সৈকত আলীকে সঙ্গী পান। দুজনে বেশ এগোচ্ছিলেন। জুটিতে উঠে যায় মূল্যবান ৪০ রান।
২৪ বলে মোসাদ্দেক ২৮ তুলে যান। সৈকত রান বাড়াতে থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে উইকেট দেয়ার সময় তার নামের পাশে ২৭ রান, এক চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ১১ বলে খেলা।
বরিশালের হয়ে হাত ঘোরানো সকলেই উইকেট পেয়েছেন। সুমন, তাসকিন, রাব্বি ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নেয়া আবু জায়েদ ছিলেন খরুচে, ৪ ওভারে ৪২ রান বিতরণ তার।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অধিনায়ক তামিম ও মিরাজ বেশ এগোচ্ছিলেন। উদ্বোধনীতে আসে ২৩ রান। মিরাজ একটি করে চার-ছয়ে ১৩ বলে ১৩ করে সাজঘরে হাঁটা দেন।
যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের পারভেজ ইমন ১১ করে মোস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিলে তামিমের দায়িত্ব বাড়ে। অবশ্য ফরচুন অধিনায়ক ইনিংস বড় করতে পারেননি।
তামিম ২৩ বলে ৩২ করে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেকের বলে। তার ইনিংসে ২ ছক্কার পিঠে এক চারের মার।
যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক সদস্য তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে পরের লড়াই চালিয়ে যান আফিফ হোসেন। হৃদয় ইনিংস বড় করতে না পারলে ছেদ পড়ে গতিতে। ২ চার ও এক ছয়ে ১০ বলে ১৭ রান তুলে সৌম্যর বলে লিটনের গ্লাভসে জমা পড়েন তিনি।
মাঝে ইরফান শুক্কুর (২) দ্রুত ফিরলে আফিফ আরও লড়েছেন। প্রয়োজনীয় রানের সাথে পাল্লা দিতে পারেননি। অপরপ্রান্তের সঙ্গীর সমর্থনের অভাব ছিল।
আফিফ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টাতেই বিলিয়েছেন উইকেট। ২৪ রানে থামে তার একটি করে চার-ছয়ে ২২ বলের ইনিংস। শেষদিকে মাহিদুল অঙ্কন করেছেন ১০ রান।
চট্টগ্রামের হয়ে ৩টি করে উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট গেছে সৌম্য ও মোসাদ্দেকের নামের পাশে।