রাজধানীর নামি-দামি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এমন কোন ব্যবস্থা নেই। শ্রেণিকক্ষের দুই বা তিনটি ফ্যান তাদের সম্বল। তাই দেশ যখন তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঠিক সেসময় সারাদেশের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অতিষ্ঠ সেই তাপদাহে। ফলে অতিরিক্ত গরম কিংবা এর ফলে অসুস্থ্য থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঠিক মতো ক্লাস করতে পারছে না।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বেসকারি একটি স্কুলে পড়া এক শিক্ষার্থী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে। বড় শ্রেণিকক্ষে মাত্র চারটি ফ্যান থাকায় বাতাস শরীরে অবধি পৌঁছায় না। তাছাড়া লোডশেডিং থাকায় শরীরে ঘাম নিয়ে ঘেমে ক্লাস করতে হয়।
প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করা অভিভাবক রুমানা আক্তার বলেন, এই গরমে মেয়েকে নিয়ে আসা-যাওয়া করতে বেশ কষ্ট করতে হয়। ডে শিফটে স্কুল হওয়ার কারণে প্রচণ্ড রোদে বের হতে হয়। তাছাড়া রাস্তার যানজট তো নিত্য সমস্যা। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি শীতকালীন সময়সূচির মত গ্রীষ্মকালীন সময়সূচি পরিবর্তন করেন তাহলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য বেশ ভালো হতো।
কলেজ শিক্ষক শারমিন নাহার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গরমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কমে গেছে। কেউ অসুস্থ কেউ আবার গরমের কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত রয়েছে। আমরা যেহেতেু চাকরি করি সেহেতু যতই গরম থাকুক না কেন কলেজে আসতে হয়।
ঢাকার মতো গ্রামের শিক্ষর্থীদের জীবনও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জমিনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অাশরাফুল আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গরমে খুব কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। ক্লাসে ফ্যানের ব্যবস্থা থাকলেও লোডশেডিং থাকার কারণে বেশির ভাগ সময় ফ্যান ছাড়াই পাঠদান করতে হচ্ছে। এর ফলে গরমে অতিষ্ট হয়ে ক্লাসের পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পানির চাহিদা মেটাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খুব হিমশিম খেতে হয় বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, এলাকায় বেশিরভাগ আয়রন ও আর্সেনিকযুক্ত পানি হওয়ার কারণেদূর থেকে নিরাপদ পানি এনে শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার দেশের সব থেকে বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায়। ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেললিয়াস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ২২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।