জাতীয় নির্বাচনের আগে আশার বার্তা নিয়ে এসেছে দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী আমেজ। ইতোমধ্যে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ই মে দুই সিটিতে ভোট হবে। এই দুই সিটিতে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছে বড় দুই দল। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটা অবশ্যই ভালো খবর। তবে আশার আলো কিছুটা দেখা গেলেও ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠেছে বড় দুই দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা নিজের শক্তি দেখানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘প্রার্থীদের অনেকে নির্বাচনী আইনের তোয়াক্কা করছেন না। নির্বাচনী আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে পরোয়া না করেই নগরীজুড়ে তারা টানাচ্ছেন বাহারি পোস্টার আর বিলবোর্ড।’ প্রশাসনের পাশাপাশি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। জনগণের জন্য যদি রাজনীতি আর নির্বাচন হয় তবে জনভোগান্তির কোনো কারণ তাদের কাছে কাম্য নয়। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার সন্ধ্যায় বড় দুই ’দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করার সভা। আমরা আশা করি, দলের পাশাপাশি সর্বোপরি সাধারণ মানুষের কাছে যারা জনপ্রিয়, মানুষের জন্য যারা প্রকৃতপক্ষে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ; তাদেরকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। এছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচনকে প্রায় সব দলই মাঠের পরীক্ষা হিসেবে দেখবে। এই প্রতিযোগিতা যেন হানাহানিতে রূপ না নেয়। আমরা দেখেছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মামলা-হামলার কারণে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এ বিষয়ে সরকারকে উদারতার পরিচয় দিতে হবে। বিরোধীপক্ষের কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও তাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার সংস্কৃতি অব্যাহত রাখতে হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এর অন্য কোনো বিকল্প নেই।