ন্যু ক্যাম্পে আরও একটি হতাশার এক রাত দেখল জাভি হার্নান্দেজ। লা লিগার তলানির দল কাদিজের বিপক্ষেও হারতে হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনার। লুকাস পেরেজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় তুলেছে কাদিজ।
সবশেষ ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টারে ২-৩ ব্যবধানে ছিটকে যাওয়ার দগদগে ক্ষত এখনো শুকায়নি। এরই মধ্যে ফের আঘাত পেল বার্সা। টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সাথে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ১৫।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এক বিধ্বস্ত বার্সাকে দেখেছে সমর্থকরা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিশানা বেধ করতে পারেননি পেরেজ। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডেম্বেলের নেওয়া দুর্বল শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে গোল শূন্যই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেরেজের গোলে এগিয়ে যায় কাদিজ। এরপর একের পর এক আক্রমণে কাদিজের রক্ষণদুর্গ কাপিয়ে দিলেও দুর্গ বেদ করা যায়নি। ৭৭ মিনিটে কর্নার কিক থেকে নেয়া দারুণ হেড কাদিজ গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে গোল বঞ্চিত থাকতে হয় বার্সাকে। দুর্বল ফিনিশিংয়ের খেসারত ম্যাচ শেষে ডুবিয়েছে বার্সাকে।
এমন হারের পর মাঠের বাইরে বার্সা সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছে। আগের ম্যাচেও টিকেট কাণ্ডে সমালোচিত লার্পোতাকে নিয়ে ম্যাচের আগে শ্লোগান দেয় সমর্থকরা।
‘আমরা বার্সেলোনা হ্যাঁ আমরাই বার্সেলোনা, লাপোর্তা নয়।
এমন হারের দলের উপর বিরক্ত জাভি। ম্যাচ শেষে ফুটবলারদের উপর ক্ষোপ ঝাড়েন তিনি।
‘আমি বিরক্ত। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে শক্ত অবস্থান ধরে রাখার এবং লা লিগা শিরোপা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেছি। আমরা লা লিগাকে প্রায় বিদায় জানিয়েছি। ফুটবলারদের আরও আক্রমণত্মক দেখা উচিত ছিল। যখন বার্নাবুউতে ৪-০ তে ম্যাচ জিতবেন তখন আপনাকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়বে। আমাদের আরও কাজ করতে হবে যেন দুর্দান্ত বার্সাকে সমর্থকরা পায়। ফুটবলাদের মূল্যবোধে আরও উন্নতি করা উচিত তবেই আমরা চ্যাম্পিয়ন লিগের রেসে টিকে থাকব।’