মার্কেট রমরমা। সবার হাতেই শপিং ব্যাগ। এর মাঝেই এই দোকান, ওই দোকান ঘুরছেন সুমনা। উদ্দেশ্য একটাই, মার্কেটের সেরা পোশাকটা ঘরে নিয়ে যাওয়া চাই। কেমন পোশাক কিনবেন জিজ্ঞেস করতেই মিষ্টি হেসে বললেন, ‘একটু ভিন্ন কিছু খুজছি।’
গ্রীষ্মের উষ্ণ আবহাওয়া মাথায় রেখে এই ঈদে আরামদায়ক পোশাকের পসরা সাজিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো। তরুণীদের পোশাকে চলছে নানান রকম বৈচিত্র্যময় ডিজাইন। উজ্জ্বল রংগুলোর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবার। সিলয়েট-এ ডাবল বা ট্রিপল লেয়ারিং, এসেমেট্রিক হেমলাইনসহ নানারকম ডিটেলিং ব্যবহার হয়েছে এবারের পোশাকগুলোতে। বিশেষ করে পোশাকের নিচের ঘের বেশ বড় রাখা হচ্ছে। পোশাকের ওপরে লম্বা কোটি পরার প্রচলন গত বারের মত এবারও আছে। হাতায় বেল স্লিভ পছন্দ করছেন অনেকেই।
পাজামার ক্ষেত্রে এবারও চলছে পালাজ্জো। তবে এবার সাথে যোগ হয়েছে ‘সিগারেট প্যান্ট।’ বিশেষ ধরণের এই স্ট্রেট কাটের প্যান্ট তরুণীরা পরছেন কুর্তা কিংবা কামিজের সাথে। এছাড়াও এবার কেপ চলছে ফ্যাশনে। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সাথে তো বটেই, ঈদে গাউন এবং কামিজের সাথেও কেপ পরবেন অনেকেই।
এমব্রয়ডারি, হাতের সেলাই, বিডস্ ও সিকোয়েন্সের প্রয়োগ, ফ্লক প্রিন্ট এবারের পোশাকগুলোতে নতুন ভাবে নতুন মাত্রায় ব্যবহৃত হয়েছে। পিয়র সিল্ক, কটন, জর্জেট, মসলিন, ডিসকস ইত্যাদি কাপড়ের ব্যবহার হয়েছে এবারের ঈদ পোশাকগুলোতে। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন হাউজ মুঘল স্থাপত্যকে পোশাকে তুলে এনেছে। একটু জমকালো এই পোশাকগুলো ক্রেতাদের নজর কেড়ে নিয়েছে বেশ সহজেই।
এবার ঈদে দেশীয় পোশাকের চাহিদা বাড়লেও নিউমার্কেট কিংবা মৌচাক মার্কেটে গেলে দেখা যায় কিছুটা ভিন্ন চিত্র। ‘বাহুবলী’ কামিজে সয়লাব হয়ে গেছে দোকানগুলো। এছাড়াও বিভিন্ন ভারতীয় সিরিয়ালের নামের ট্যাগ লাগিয়ে রাখা হয়েছে পোশাকগুলোতে। জমকালো এই পোশাকগুলো বেশির ভাগই ভারতীয়। এই পোশাকগুলো কেনার জন্যও মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতাদের।