তনু হত্যাকাণ্ডে ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে র্যাব। প্রাথমিকভাবে তনুর পরিবারের সদস্যসহ সন্দেহভাজন ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘হত্যাকারী যে-ই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’।
তনু হত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একাত্তরে শহীদ পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। এ ঘটনায় গোয়েন্দারা কাজ করছে। আমরা অনেক বড় বড় ঘটনার রহস্য বের করেছি। এটিরও রহস্য উদঘাটন হবে। হয়তো একটু সময় লাগছে।’
সোহাগী জাহান তনু হত্যার রহস্য উদঘাটনে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর, আইএসপিআর।
শুক্রবার
রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, ‘গত ২০ মার্চ তারিখ রাত
আনুমানিক ১১টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় (এ স্থানে কোনো
সীমানা প্রাচীর নেই) সোহাগী জাহান তনুর অচেতন দেহ খুঁজে পান তার বাবা ইয়ার
আলী এবং তিনি মিলিটারি পুলিশকে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ সোহাগীকে সিএমএইচ-এ নেয়া
হয় এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে
আরো বলা হয়, পরে পুলিশ তনুর পোস্টমর্টেম করে। ওই হত্যার কারণ উদঘাটনের
জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সেনাবাহিনী এর কারণ উদঘাটনে
পুলিশ/প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে।
গত সোমবার সকালে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।