আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ বলেছেন: এফআর টাওয়ারটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কারো গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
গত ৮ বছর আগে এই একই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ কি ছিল। যেখানে কিনা আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ বলেন: আট বছর আগে কি ঘটেছিল তা এখন আমি স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না। তবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা অবশ্যই তদন্ত করবে। যদি কারো গাফিলতি পাওয়া যায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন: এখন পর্যন্ত যে ২৫ জন মারা গেছে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৫০ থেকে ৬০ আহত হয়েছে। তারা ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে যায়।
২৫ জনের মরদেহ উদ্ধারের পরও আরও কোনো মরদেহ উদ্ধার বা ভবনে হতাহত কেউ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে হানিফ বলেন: এখন পর্যন্ত ২৫ জন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের এখানে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ও পরিচালক আছেন তারা ভবনের ২২টি ফ্লোরেই ঘুরে দেখেছেন, তল্লাশি করেছেন, সেখানে আরও কোনো মৃতদেহ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন।
হানিফ বলেন: বহুতল ভবনের জন্য ফায়ার সেফটির একটি ডিজাইন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক সবাইকে এখন থেকে ভবন নির্মাণ করতে হবে। রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোতে কি পরিমাণ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আমাদের দক্ষ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
রাজধানীতে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে রাজউকের কোনো গাফিলতি আছে কিনা, ওই নকশাতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে হানিফ বলেন: ভবনের নকশাগুলোতে কি ছিল, কি ছিল না তা এখন দেখার সময় নয়। এখন আগুনের ঘটনায় আগে হতাহতদের উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী নিজে আগুনের বিষয়টি মনিটরিং করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বহুতল ভবনে যারা শর্ত না মেনে নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণায়ল একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবে কারা নকশা মানে নি। এই ভবনের ক্ষেত্রেও তাই অনুসরণ করা হবে। আর এই ভবনে আদৌ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।