চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাড়ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা

তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা না করা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও গতবছর ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এরই মধ্যে তথ্য ফাঁসের পাশাপাশি ক্ষতিকর উপাদান ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হচ্ছে ফেসবুককে। তারপরও জনপ্রিয় এই সামাজিক মাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছর অন্তত একবার লগইন করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ।

নানা কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন- এমন আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরটিতে ফেসবুকের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ হারে।

ফেসবুক বর্জন করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রচারণা চালালেও উল্টো বেড়েছে ফেসবুকের আয়।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুক ‘বৃহৎ সামাজিক বিষয়গুলোতে জোর দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মৌলিক ধারায় পরিবর্তন এনেছে।’

গত জুলাইয়ের পর থেকেই ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়।

সেসময়ই প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখন আগের দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল ফেসবুকের।

তবে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ফাঁসের পরও একই বছরে ফেসবুকের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ শতাংশ হারে।

মূলত বাণিজ্যিক প্রয়োজনে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করে রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।  আর তখন থেকেই তথ্য ফাঁসের চাঞ্চল্যকর তথ্য বিশ্বের নেট দুনিয়ায় ধরা দেয়।

এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন তারা ‘ভুল করেছেন’। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফেসবুক প্রধান।

তারপরও ২০১৮ সালে ফেসবুকের মোট মুনাফা ছিল ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।

ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে; তবে যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যানাডায় ব্যবহারকারী সংখ্যা একইরকম ছিল।