নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপে এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ দল সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েন এবং ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালুর বিপক্ষে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
একই সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারে বিগত নির্বাচনগুলোতে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সদস্য নেয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
এসব দাবিসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৬ দফা দাবি তুলে ধরেছে এনপিপি। ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এনপিপি’র চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর নেতৃত্বে নির্বাচন ভবনে আসে দলটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে এই সংলাপের পর এনপিপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি আগে মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েন করার পক্ষপাতি নয় দলটি। নির্বাচনে বিতর্কিত প্রার্থী এড়াতে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের প্রার্থী হতে কমপক্ষে ৩ বছরের রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ততার বিধান থাকা উচিৎ।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই বিধি শীথিল হতে পারে। গ্রামীণ জনপদের ভোটাররা এখনো ইভিএম পদ্ধতির সঙ্গে সুপরিচিত না হওয়ায় আগামী নির্বাচনে এটা ব্যবহার না করাই ভালো বলে মনেকরে দলটি।
নতুন দলের নিবন্ধনে ইসিকে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেয়ার তাগিদ জানিয়ে এনপিপি নেতারা বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনে অবশ্যই দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সামাজিক মর্যাদা, অর্থনৈতিক অবস্থা, সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় নিতে হবে।’
এছাড়াও ১৬ দফা প্রস্তাবে কালো টাকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচন, গণমাধ্যমে দল-প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণার সমানসুযোগসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, রাজনৈতিক বিবেচনায় ইসিতে নিয়োগ পাওয়াদের অব্যাহতির মতো দাবিগুলো তুলে ধরে এনপিপি।
নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসে। এর পর গত ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি।