চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঢাবি’র প্রশ্নফাঁসে আটক ৬

ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

তারা হলেন, জাহিদুল ইসলাম (৪৫), ইনসান আলী ওরফে রকি (১৯), মো: মোস্তাকিম হোসেন (২০), মো: সাদমান সালিদ (২১), মোঃ তানভীর আহমেদ(২১), মোঃ আবু তালেব (১৯)। তারা সবাই বগুড়ার বাসিন্দা।

শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা এক মামলার এজাহারে আটকের এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল হাসান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২২(২), ৩৩(২) ধারাসহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ১৩/৪ ধারায় শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ২৯।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পরীক্ষার দিন সকাল পর্যন্ত বগুড়ার রাহেমা কোচিং সেন্টারের সাব্বির ও গুগল এডমিশন এন্ড ইনফরমেশন সেন্টারের লিমন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে এবং পরবর্তীতে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে।

এই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো ও ভাইবারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়।’

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘সিআইডির সাইবার ক্রাইম টিমের সহায়তায় শনিবার রাতে তাদেরকে আলামতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েলচত্বর এলাকা থেকে আটক করা হয়।’ আসামীদের কাছে থাকা মোবাইল সিমকার্ড, ইন্টারনেট, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা স্থানান্তর করে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে আসছে’।

এই বিষয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং আমরা ছয় জনকে আটক করেছি, যারা এখন থানায় আছেন’।

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪৩ মিনিটি আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাতে লেখা উত্তরপত্রসহ ১০০টি প্রশ্ন সম্বলিত ১৪ পৃষ্ঠার একটি প্রশ্নপত্র সাংবাদিকদের কাছে আসে। পরীক্ষা শেষে আগে থেকে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ৭২টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘটনা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষার রাতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে

তবে অনেকেই ‘ঘ’ ইউনিটে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।