ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ‘আমরা ফুরিয়ে যাই তোমাদের তরে অফুরান হতে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে আট দিনব্যাপী ১২তম কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসব । সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক(টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ।
উৎসবে আটদিনে দেশি বিদেশি মোট ১৭টি নাটক মঞ্চায়িত হবে। নাটকগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে টিএসসির মূল মিলনায়তনে নাটক প্রদশিত হবে। উদ্বোধনী দিনে সৈয়দ শামসুল হকের নীল দর্শন উপন্যাস অবলম্বনে ‘নীল দর্শন’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘চন্ডালিকা’ নাটক প্রদর্শিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাহিদ রেজা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদুল কবির। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সৃষ্টিশীল ভূমিকা রাখায় বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সংস্কৃতিচর্চা পাঠ্যক্রমের বাইরের বিষয় হওয়ায় অনেকে মনে করেন এটি করলেও হয় না করলেও হয়। কিন্তু এই সংস্কৃতিচর্চাকে শুধু বাইরে রাখলে হবে না। এটিকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ সৃজনশীলতা শুধু শ্রেণীকক্ষের বই পড়লে হয় না। এর জন্য সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের সংস্কৃতি চর্চায় এক ধরনের অন্ধকার নেমে এসেছিল। এই অন্ধকার অবস্থা থেকে ফেরার জন্য আমরা সংস্কৃতি চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। এজন্য বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আখতারুজ্জামান বলেন, নাটক একটি সমাজের চিত্র বদলে দিতে পারে। নাটকের বক্তব্য সমাজে অনেক দিন টিকে থাকে। তেমনি এই উৎসবে মঞ্চায়িত নাটকগুলোর মূল বক্তব্য দীর্ঘদিন সমাজে টিকে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।