প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গণরুম ও গেস্টরুমের নামে অত্যাচার নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসব দাবিতে মানববন্ধন করে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।
এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার, সাধ্য আছে কার, সে অধিকার রুখবার’, ‘হলে থাকে বহিরাগত, ডাকসু তুমি কী করো’, ‘অছাত্রমুক্ত হল চাই, প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিট চাই’, ‘আর কতো স্বপ্নেরা গণরুমে পচে মরবে’, ‘গেস্টরুম-গণরুমের নামে নির্যাতন বন্ধ করো’ ইত্যাদি লেখা ছিল।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেন,’বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার নামে তার আদর্শকে কলুষিত করে কিছু কর্তৃত্ববাদী উচ্ছৃঙ্খল ও সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম এবং গণরুমে অত্যাচার করে। যেখানে বঙ্গবন্ধু তার সহযোগীদের নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, সেখানে তার অনুসারীরা শুধু স্লোগান দিতে দিতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। তারা গেস্টরুম-গণরুমের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন করে।’
মানববন্ধনে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আমাদের অনেকেই বলে, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এ সমস্যা সমাধান করতে। কিন্তু আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কিছুই পরিবর্তন হবে না। প্রধানমন্ত্রী জীবনে কোনদিন চাইবেও না। কারণ প্রধানমন্ত্রী গণভবনে যেসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে যান তাদের গণরুমের মাধ্যমে তৈরি করে নিয়ে যান। এই গেস্টরুম যেদিন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে একটি ছাত্রও থাকবে না। তাই আমি বলতে চাই, যা আদায় করার তা আমাদের নিজেদেরই আদায় করতে হবে।’
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে আবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ এসে শেষ হয়।